মনে পড়ে তৃষ্ণার্ত বৃক্ষতল, বৃদ্ধ শুদ্ধ ঈষৎ অসমতল
ছায়ার নিনাদ, বুড়ো জেরিমীর ক্লান্ত বেহালা মনে পড়ে
বেইল্টবিহীন প্যান্টে পকেটে হাত ঢুকিয়ে
হেঁটে চলা কোনো বসন্ত বিকেল মনে পড়ে
সংক্রামক শৈশবের হাতে
নিপীড়িত হতে থাকে কৈশোর, যৌবন।
যেনো কী নিদারুণ এক মিথোজীবিতা !
আর কতো কতো শীত ফুরোলে হবো স্বীকৃত বুড়ো,
শীত শেষে বসন্ত আসে,
তবুও আসেনা মানুষ অথবা দেবতারা
বসন্ত আসি আসি করেও তবু আসে না কেনো?
আসার আগেই চলে যায় যেনো,
একান্ন গতির রেলগাড়িটা যেমন যায় চলে,
গন্তব্য জানার আগেই।
এই বসন্তেও যাদের আর হয়তো ফেরা হবে না
গেলো বসন্তেও তাদের ফেরার আশা ছিলো না।
সবকিছু ভুলে, একপাশে রেখে তাই
আপাত স্বাধীন জীবনস্রোতে ভেসে যাই
যাপিত জীবন খুঁজে দেখার সময় কই !
দেখছি সেকেন্ডহ্যান্ড কবরে ছেয়ে যাচ্ছে শহর,
কিংবা মূলত শহরতলী,শহরতলীর অপরিচ্ছন্ন গোরস্তান
মরে যেতে যাই, তাই মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াই
মরে গেলে আগে, যদি পাই ফার্স্টহ্যান্ড কোন কবর !
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯