অন্তঃসারশূন্য এক বিপন্ন সময়ে বর্তমান বসবাস আমাদের
দৃশ্যতঃ জীবিত কিংবা অর্ধমৃত,মৃত্যুর পাশাপাশি।
প্রবল আত্নহত্যাপ্রবণ, গোটা দুই প্রজন্ম আমরা দাঁড়িয়ে আছি মৃত্যুর মুখোমুখি,
যদিও মৃত্যুভয় শেষমেশ জাঁকিয়ে ধরেছে,
আমাদের নিয়ে গেছে ঈশ্বরের কাছাকাছি।
অবশেষে জেনেছি মানুষও বাঁচতে চায়,
বাঁচতে চায় প্রাণভয়ে পলায়নরত হরিণের মতো,
বাঁচতে চায় যুদ্ধের ময়দানে ফেরারি মার্সেনারির মতো,
তবুও মহামড়ক মচ্ছবে মানুষ গড়ায়ে যায় সে পথে,
যে পথে ফিরেছে সব পূর্বপুরুষ,
ফিরেছে আদম,বুদ্ধ,কনফুসিয়াস,যতো পূর্ববর্তী প্রফেট
শুনেছি রোমের কলোসিয়াম রাখছে মৃত্যুর হিসেব অতীতের মতোই,
বিষন্ন বাতাসে উড়ে উড়ে যায় বেওয়ারিশ লাশের গন্ধ,
যেনো মেঘে মেঘে ভেসে যায় বিষাদের কাফেলা, শহরে শহরে, বন্দরে বন্দরে।
দেখেছি শ্রাউড অফ তুরিনে ঢাকা পড়ছে নকল যীশু,
কফিনের ভেতর শুয়ে আছে বাইজেন্টাইন সম্রাজ্ঞীর প্রাক্তন প্রেমিকেরা,
শেষকৃত্য হবে কিনা জানা নেই।
যেনো একে একে সব প্রচীন শহরের মুখোশ পাল্টে যাচ্ছে কী নিদারুণ নেক্রপলিসে।
কে দেখাবে আশ্বাস?কে ফেরাবে বিশ্বাস?
অস্থির অনিশ্চয়তার উঠোনে স্বস্তির নিঃশ্বাস?
তবুও মানুষ চাইছে গাইছে "সুদিন, কাছে এসো"
হয়তো আসবেনা, হয়তো আসবেই একদিন
যে শিশু অনাগত, যে শিশু দেখেনি মৃত্যু অথবা নরক
সে শিশু একদিন, হয়তো বছর কুঁড়ি পরে,
পাহাড়ি মহিষের ঘরে ফেরার পথে,
আমাদের শত সহস্র যৌথকবর, পঁচে যাওয়া ফুসফুস হৃৎপিণ্ড থেকে জন্মানো ঘাসে বসে চুম্বন খাবে অসুখী প্রেমিকারে।
নিঃসন্দেহে নিরাপদ ও শংকাহীন চুম্বন!
আমরা আছি আশাবাদীদের দলে- "সুদিন, ফিরে এসো"
এপ্রিল,২০২০
নরসিংদী, ঢাকা
(কবিতাটি তূলনামূলক অপরিণত বয়সে, করোনা মহামারীকালীন চলমান অস্থির অস্বস্তিকর সময়ে লেখা।হয়তো এখন আর তেমন প্রাসঙ্গিক নয়। )