আলপথ বেঁকে তাল খেজুরের গায়ে গড়াগড়ি পিচ রাস্তায় ।পাহাড় নেমেছে পাহাড়ের গাঁয়ে। পোড়া মাঠ সাজিয়ে সবুজ প্রলেপ।
জোনাকিরা চুষে খাবে সবুজের রস ।


আমাকে বেছে নিতে হবে একফালি জমি
একমুঠো কাঁকর মাটি ।  ঘিরে দিতে সীমানা প্রাচীর  ঘাস ফড়িং পাথর  ঝিঁঝিঁ । শেকলে বাঁধা সুখ মুখ বিন্দু ঘাম জুড়াবে ভেসে আসা বাতাস ।



একফালি চাঁদ মেঘের ভিতরে গেলে উসখুস করবে প্রিয়জন , পথবাতির নরম আদরে । হেমন্তের শেষে হাত জড়িয়ে ঝাঁক দিক শিম ফুল কংক্রিট দেওয়ালে।
বসন্তের পলাশ শিমুল বৈশাখী
সৈকতের উড়াল হাওয়া ভেসে নিখুঁত কোলের আদরে  ।

বট গাছের পাতা হলুদ হবে ধীরে, শান্ত হাসবে শুকিয়ে আসা ঘাস ঝোপ। কুটুসের ডাঁটারা ফাঁকা হয়ে দুলুনির গান গেয়ে ঝরাবে পাকা ফল। এলোমেলো কালচে বাঁশ পাতারা গেঁথে মনসা ঝোপের মাথায়।


পোড়া মাঠের সবুজ রা রৌদ্র স্নান নিয়ে পাড়ি দেবে  গৃহস্থ গোয়ালে । পুকুর ঘাটে কাঁপবে ঘেসোরুই । পশ্চিমের পাহাড় গ্রামের লাল সূর্য শেষ ছটায় বারান্দার টবের সাদা ফুল কে চুম্বন দেবে       ধীর            ধীর           ধীর
তখুনি মনে হোক সীমানা প্রাচীর
একফসলি জমি ।




খাতরা , বাঁকুড়া,প: ব:, ১৫.০৩.২০১৭