নগরের ফটোগ্রাফ


এখন কেউ আর সত্যটাকে স্বীকার করেনা, সত্যটাকে সুবিধামতো হজম করে ফেলে।


এই যে শহর, শহরের ইতর ভদ্দর নটি বেশ্যা ঘর মানুষ
মানুষের আচরিত জীবন
কেউ কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারে কামের আগুনে আমি পুড়িনি কোনদিন
কার আছে এমন স্পর্ধা!
জানি সঠিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর কারো জানা নেই।


টাকার পিছে ছুটতে ছুটতে ভালবাসার পিছে ছুটতে ছুটতে
ঘামে কামে যে জীবনের গাড়ীতে রোজ পথচলা
যে পথে দাঁড়িয়ে থাকে নগরের সাদা-কালো ,মোটা লিকলিকে চেতনা
বাতির আলোয় অথবা অন্ধকারে যে জীবন বেঁচাকেনা হয় রোজ
তারও তো থাকে দোকানী এবং খদ্দের
কি হয় সে জীবনের লেনদেনে, কি হয় তাতে
অন্তত: সাধু সন্ন্যেস তো নয়!
এখন সত্যটা হাওয়ায় মিঠাইয়ের মতোই চুপসে যায়
এখন মিথ্যারাই শাসন করে নগর এবং নগরের যতো সত্যকে।


সদ্য জন্ম নেয়া পদ্যটিও আজ কামের জলে চ্যাটচেটে হয়
শহর জুড়ে যখন ঘরে ফেরার হিড়িক পড়ে যায়,
শহর জুড়ে যখন বাতি নেভানোর হিড়িক পড়ে যায়
কি ভেবেছ মিছি মিছিই সব,
সতী মানুষগুলো অসতীর অর্ন্তবাসে নাক ডুবিয়ে যখন নেয় জীবনের স্বাদ
পরম সত্যের পূজারী ব্রতীগুলোর আজিনে চাদরে যখন লেগে থাকে বীর্যের ঘ্রাণ
তখন মিথ্যেরা হেসে লুটোপুটি খায় সত্যেরা হয় লজ্জিত।


সকাল আসে রঙ্গিন শুভ্র; সকাল আসে ঘটনাবহুল রাত শেষে
এক এক করে বেড়িয়ে আসে যত ইতর ভদ্দর নাগরিক নটি,
এক এক করে ভীড় জমে অলিতে- গলিতে অফিসে আদালতে পার্কে বাসে
স্টেশন ,টার্মিনালে
রাতের কামে স্নিগ্ধ মানুষগুলো ঠিকই চেপে যায় ডাহা মিথ্যেগুলো
রাতারাতি হয়ে ওঠে সাধু সন্ন্যেসী, ভদ্দর লোক
তারাই নাকি এখন সত্য শেখাবে সত্যদের
তারাই এখন নাকি মহাসভ্য হয়ে সভ্যতা শেখাবে নাগরিক জীবনে।


বুকে হাত দিয়ে কে কবে বলেছে উর্বশী দেহ আমায় ডাকেনি একটিবারও
বুকে হাত দিয়ে কে কবে বলেছে আমি পাপী নইরে শালা !