তুমি ছাড়া ভীষণ একা আমি আজ,
ঠিক সেই নিঃসঙ্গ গ্রহের মত,
নক্ষত্র নেই যার আবর্তনের!
আমিও ওর মতই,
কক্ষপথ হীনা ভেসে বেড়াচ্ছি এই মহাশূন্যে,
এক কোটি বিশ লক্ষ বছরটি ধরে।


আসলেই ভীষণ একা আমি আজ,
ঠিক সেই বাবলা গাছের মত,
বেঁচে আছে যে আজো সাহারার বন্ধা মরুতে!
আমিও ওর মতই,
আজো একা ঠায় দাঁড়িয়ে শত শত বছর ধরে,
একশ’আশি হাত ভূমি ভেদে শিকড় মোর আজও জল শোষে!


তুমি ছাড়া আমি একদমই একা,
নিঃসঙ্গ এক পথিকের মত,
উদভ্রান্ত যে, বৈরাগী ভবঘুরে!
একেলা এক শালিকের মত,
কাতর যে, ডুকরে ডুকরে ডাকে ওর জোড়াকে।
নদীভাঙ্গা এক সর্বহারার মত,
নিঃস্ব যে, উদাসী নয়নে স্বপন খোঁজে উন্মত্ত জলের ঘূর্ণিপাকে।
তুমি ছাড়া আমি একদমই একা,
চিতার পিঠে ওই শবের মত,
জ্বল্‌জ্বল্‌ চিতা জ্বলছে যে তার প্রাণের আগুনে।


কোথায় তুমি? কত দূরে?
কোথাও কি নেই আমি, তোমার হৃদয়ের কোনো কোটরে?
তুমি ছাড়া আমি আজ বড্ড একা,
একাকিত্বে উপলব্ধি আমার আজ তোমারই প্রতীক্ষা!