১)
আকাশ নামে বিদ্যুতের বাঁশিতে ,
স্বেদ ঝরায় মাটি... উৎকর্ণ শ্রবণে ভাসে রিক্ত হওয়ার ডাক-----
সিক্ত আঁচলে ভিজে শ্বাস নিতে
গতরাতেও এসেছিল যে
আজও তার আসার কথা...
ভোর হবার আগে কলিরাও পেয়ে যাবে ঘর
আর  মাটির পলল গন্ধ-ঘ্রাণে বর্ণমালারা জন্ম দেবে


প্রেমজ ভোর


দেহবল্লরী গানে।


২)
কেমন ঘোরের মধ্যে চলেছি---
সম্বলিত সময়, পথ আর মাতাল  আঁকাবাঁকা চলে কি?
একটি গাছ ঝাঁকা মাথায়-অনন্ত ফেরিওয়ালা সুখে
বনমালী বাঁশি বেজেই চলেছে অবিরাম বূকে
কান্নারা বিরহের থেমে আছে কোন্‌ প্রবাহে
নদী যেন  নদী হতে চায় এই দেহে


পথ আটকাবে কে?
৩)


তুমি কোথায় চলে গেলে?
বাতাসে সিগারেটের ধোঁয়া- গন্ধ , ছাই ভাসে?
বয়সে বড় গাছেরা নির্ধন হলুদে,
শেষটুকু সবুজ লেগে আছে  পাতার  সজীব আভাসে
ইজেল থেকে ছড়িয়ে পড়া শেষ বিকেলের নারঙ্গি রোদ-রং
সমস্ত জড়ো এইখানে আশ্লেষে
কোথা যাই অরণ্য... তুমি চলে গেছ কোথায়?
এই গন্ধ, ধোঁয়ার কাছে সমর্পিত প্রাণ আমি  , পরম প্রেম
নির্ভরতায়


পরীনিশ্চল!