আজ অনেকদিন পর বসেছি এই'খানটায়
রেল লাইনের এই কিনারটা আমার অনেক দিনের চেনা
অনেক দিনের জানা,
অনেক সময় পার করেছি এইখানটায়
ঠিক এইখানটায়
কখনও অানমনে কখনও'বা হেলায়।


অনেক দেখেছি সূর্য্য ডোবা
ঠিক এইখানটায় বসে,
দেখেছি সন্ধ্যার অাবছা অাঁধার,
দেখেছি ভরা পূর্ণিমা
কখনও'বা অমানিশির ঘোর।


শূণ্য হাতে অনেক ছুড়েছি পাথর
ঝিলের ওই মাঝখানটায়,
চেয়ে দেখেছি ঢিলের ঢেউগুলো
কিভাবে শূণ্যে মিলায়।


কতকিছু ভেবেছি অানমনে
অনেক কেঁদেছি নীরব অভিমানে,
ঠিক এই'খানটায়
হাড়িয়ে গেছে অনেক সময়।


যখন খুব জ্যোৎস্না থাকতো
তখন মাঝে মাঝে আকাশের তারা গুনতাম,
এক, দুই, তিন,চার, পাঁচ.........
এলোমেলো অগোছালো,
ঘুরেফিরে ঠিক সেইখানটায় ফিরতাম
যেখান থেকে প্রথম শূরু করতাম।


কিছুই মিলতো'না
সবকিছুই ছিল ব্যার্থ প্রচেষ্টা,
তখন ভীষণ রাগ হতো
অাবার পাথর ছুড়তাম।


অাবার যেদিন অমানিশি থাকতো
অন্ধকার নিকোশ কালো,
তখন ভীষণ কাঁদতাম
পৃথিবীর সবকিছু থেকে নিজেকে অাড়াল করতাম,
যেন কেউ দেখতে না পারে
এইখানটায় কারো কষ্ট ঝড়ছে।


হাঠাৎ করেই কান্নাটা থেমে যেতো
শত চেষ্টা করেও অার ঝড়াতে পারতাম না,
শূধু বুকের ভেতরটা কেমন যেন করতো
বুঝতে পারতাম না,
কেমন যেন এক অব্যাক্ত যন্ত্রণা!


খুব কষ্ট হতো শইতে পারতাম না
অজান্তেই আবার পাথর ছুড়তাম,
হঠাৎ ঝিলের পানিগুলো ঝলসে উঠতো
অজান্তেই এক রকম চমকে উঠতাম।


যখন চোঁখ তুলে এদিক ওদিক দেখতাম
তখন বুঝতাম;
ভোরের সূর্য্য উকি দিয়েছে,
প্রভাত জেগে উঠলো বলে।


তখন খুব বড় দেখে একটা পাথর নিতাম
ক্লান্ত দেহের সমস্ত শক্তি দিয়ে;
ঝিলের ঠিক মাঝখানটায় ছুড়ে মারতাম,
উঠতাম, হাটতে শুরু করতাম
আর তাকিয়ে দেখতাম সেই ছোড়া ঢিলের ঢেউ,
এভাবেই কেটেছে অনেকগুলি যাতনার রাত
যা কখনোই দেখতে পায়নি কেউ।