একা একা চলছিলাম
কোন এক জোস্নাস্নাত রাতে
হবে হেমন্ত বা শীতের প্রাতে।
পায়ে শিশির স্নিগ্ধ ঘাসের স্পর্শ
মন কাপছিলো শিহরনে
প্রকৃতির নির্ভৃত নির্জন কোনে।
কোকিল কন্ঠী মায়াবতীর ডাকে
স্তব্ধ হলেম আমি, শিহরিত হলো মন।
চারদিকে চোখ মেললাম
হঠাৎ সে সামনে এসে দারালো
অনুভব করলাম,
সে ষোড়শী কোন এক পরিপক্ক রমনী
পবনের দোলায় এলোমেলো তার কেশ
ভোরের জোস্নায় তার শরীরে ঝলমলে পরিবেশ।
স্নিগ্ধ গোলাপের ন্যয় অধর ও ওষ্ঠ
শরীরের বাতায়নে সৌরভ প্রভাহিত ন্যয় পুষ্প।
উন্নত বক্ষ যুগল ,স্ফীত কোমরের গরন
মুচকি হাসিতে যেন মুক্তর ঝড়ন ।
আমার মধ্যে জেগেছিল এক অদৃশ্য মোহ
দেখিয়া তার সৌন্দয্যের দাহ।
আমি মুগ্ধমনে তাকে যতোই দেখছিলাম ,
আমি ততোই শিহরিত হচ্ছিলাম।
অজান্তেই মনের দর্পনে গেথে রেখেছিনু তারে
স্বপ্নের মত সেই স্মৃতি আমার হৃদয় জুরে ।
ভুলিতে পারি না তারে ,
পড়িতে,খেলিতে মনে পরে তাকে সকলিত কাজে।
জানিতো না কেউ ,
এটাই হবে জীবনের প্রথম আর শেষ বেলার ঢেউ।