গঙ্গা বয়ে যায় ধীরে সামনে,
বসে আছি অস‍্যি ঘাটে নির্জনে,
পাখীর ঝাঁক ওড়ে জলের উপরে,
সূর্যের রঙ জলে খেলা করে।


শুরু হল গঙ্গার আরতি ভোরে,
আঁধার সরিয়ে আলো ফুটল ধীরে,
মাইকে সমবেত বেদ মন্ত্র উচ্চারণে,
আরতি চলে বিভিন্ন মূদ্রায় আচমনে।
আরতি শেষে সবাই দেয় পূষ্পাঞ্জলী,
শান্তির জলে নত মাথা সকলেরি।


বিদেশী এসেছে কত দেশ থেকে,
তারাও মেতেছে আনন্দে গঙ্গার রূপে,
গঙ্গার জলে লঞ্চবোট সারে সারে,
সকালে বিকালে অনেকে ভ্রমণ ক‍রে।


দুটো মন্দির-চারিদিকে ঘেরা প্রাচীর,
পাশাপাশি অশ্বত্থ-বট দুটি গাছ স্থির,
শিবলিঙ্গ রাখা আছে বটের গোড়ায়,
মেয়েরা পূজা দেয় সন্ধ‍্যা বেলায়।


এখানে সকালে হয় যোগ ব‍্যায়াম,
ঘাটের চাতালে বহুলোক করে প্রাণায়াম,
সকলের সমস্বরে বাতাস উঠে ভরে,
শিক্ষাগুরুর নির্দেশ মঞ্চে বসে দূরে।


সন্ধ‍্যায় জ্বলে প্রদীপ সারে সারে,
আবার আরতি শুরু গানের সুরে,
অস‍্যি ঘাটে আনন্দ-শান্তির মেলা,
সবাই স্বাগত- এখানে নাই অবহেলা।