জন্মের আদি ক্ষণে কে যেন আমাকে ছুঁয়ে দিয়ে গেল, যেতে যেতে
বলে গেল -  যাঃ এবারে ধরা পড়ে গেলি, পাতালের সিঁড়ি ঘুরে  
নামতে থাকবি তুই, আরোহণ হবে না কোন মতে ।


চোখ বেঁধে দেয়নি কেউ, বরং সকলেই এটা সেটা দিয়ে শিখাতে চেয়েছে
আমি তাদের নিজেদের বিদ্যাবুদ্ধি সিঁড়ির মুখে ঠেলে  দিয়ে দেখি কে বেঁচেছে ।
চোখ বেঁধে দেয়নি কেউ, হয়ত নিজে নিজেই, তাই অনবরত কানে বাজে
কানামাছি ভোঁ ভোঁ......কানামাছি ভোঁ ভোঁ.........


যা কিছু আমার আত্মসুখ, গর্ভগৃহ চুইয়ে আসা ধীর শান্তিজল, পায়ের নীচে
বয়ে যায় অক্লেশে, তাহাদের পিছে পিছে নেমে চলি,  মৃত্যুর আশ্রিতজন যেমন  
শেষতম প্রার্থনা বদলায় মাত্র একবার। অস্পষ্ট হাত নিজের বাহু থেকে ছিঁড়ে
নিয়ে মশাল করে ধরি , পাথর অন্ধকার মোম বৃষ্টির মত গলে গলে পড়ে ।


জন্মের আদি ক্ষণে কে যেন আমাকে ছুঁয়েছিল, বলেছিল কানে কানে-  
পতন থেমে গেলে, সৃষ্টি যাবে থেমে। তবে মাঝে মাঝে আগুন জ্বালানো দরকার
কিছুক্ষণ বিরতি দরকার, খালি বুকে কুম্ভকর্ণ ঘুম ভেঙ্গে জোর এনে  -
সেতুহীন অন্ধকারে নিজেকে আঁকড়ে ধরে অট্টহাসি বিলিয়ে দেওয়া দরকার ।


বাকি যা হচ্ছে সে হবেই , কানামাছি ভোঁ ভোঁ......কানামাছি ভোঁ ভোঁ......


                       --- শ্রীতরুণ (১৪/৪/২০১৫)