ঘাপটি মেরে বসে থাকে , অলক্ষ্যে কোনও কোনে
সন্ধান পাই না তার , ঘুরে বেড়ায় গোপনে গোপনে
বিপদ বাধিয়ে দিয়ে , ব্যাটা মজা দেখে, আমি খাই খাবি
আমার ভেতরে বসে , রগড় দেখে হাসে , এক শালা কবি
এই আছে এই নেই , যখন খুঁজতে চাই
সময় থাকলে হাতে , নেড়ে চেড়ে দেখতে যেই
কলম কাগজ বাগিয়ে বসি -
এক লাইন ধরিয়ে দিয়ে , কোথায় পালায় যে সে
সার হয় হাপিত্যেশই ,
স্বেচ্ছাচারী সে অতি , উদ্যত অসম্ভব অনুভবি
ফুৎকারে উড়িয়ে দেয় আমার সব অনুরোধই
পূর্ণ কবিতার সাধ আর মেটে না কখনোই
বেআক্কেলে বেয়াদব , হারামির হাত-বাক্স সে,
শয়তানের অনুচর হয়ে কোথায় কোথায় ঘোরে যে
হঠাৎ অসময়ে, ঠিক ঘুমের আগে আসে,
জোর করে মাথায় ভেতরে ঢুকে
বারোটা বাজিয়ে দিয়ে আমার স্বস্তিকে,
ফুসলিয়ে নিয়ে যায় কোন কানাগলির দেশে -
সারা রাত তার সাথে বলাৎকার আগে পিছে
সে সুন্দরীর সৌম্যতার , বাকি কিছু রাখে না আর
সে ধর্ষিত শান্তিকে , আমার ঘাড়ে ফেলে দিয়ে
অবহেলায় চলে যায়, বদ-হাওয়ায় গিয়ে মেশে
ইচ্ছে হলে নানা রঙে, ক্যানভাস ভরিয়ে আঁকে
আবার স্বেচ্ছায় ছিঁড়ে কুটি কুটি করে, সযত্ন-লালিত সব ছবি
অসময়ে, দুরাচারে, আমাকে তাড়িয়ে মারে,
আমার ভেতর ঘরে, কখনো কখনো আসে , এক শালা কবি ।
-----------------------------------
***এই আসরে ২০০তম কবিতা এটি। আমার চলার পথের সমস্ত বন্ধু,
শুভানুধ্যায়ী, গুণী পাঠক-কবিদের সস্রদ্ধ ভালোবাসা, ও ধন্যবাদ জানাই ***
----- শ্রীতরুণ (২.৭.১৫)