হাতের দৈবছিহ্ন সকল লুপ্ত হয়েছে হঠাৎ
নাই আর অঙ্গুলের ডগায় ঘূর্ণমান চক্রের প্রতাপ
কোথায় লুকাল ভয়ংকর ত্রিশূল হুংকার
চারদিকে লেলিহান জ্বলছে অবিশ্বাস অবিশ্বাস
মহাবীর্যে পতপত 'অবজ্ঞার' উড্ডীন পতাকা
চারদিকে মাংস- গন্ধ , হিংস্র হায়নার কুৎসিত হাসি
নগরে বন্দরে ঘৃণার মিছিল, শিশুঘাতী মাতৃঘাতী মানুষ মানুষী
শয়তানের দোসর নহে, তার চেয়ে বেশী শয়তানী ধরে
পানীয়ে শোণীতে ধুম নেশার উল্লাস,
নাংগা নাচ রাজপথে নগ্ন সন্ত্রাস
আমার গলার সাপ দেখি তাদের ভেতরে
ভব্য জুতো জামা পরে বক্তৃতা বিস্তারে
হাহাকার দিকে দিকে , কান্নার রোল
পাক দিয়ে ওঠে আর্তনাদে প্রার্থনায় আমার নামের বোল
কানে আসে সব, কি করব আমি -
আমার ঐশ্বরিক সমস্ত সম্পদ অবিশ্বাসের অ্যাসিডে ক্ষয়ে ঝুরঝুরে
ধরেছে অবজ্ঞার জং বজ্রের ধারে
কপালে আগুন নেই , নেই ত্রিনয়ন,
কপোলের ভাঁজে ঝরে পাথর চুয়ানো ঘাম
প্রেত ও প্রেতিনী যত ছিল অনুচর
আজ তারা মৃতপ্রায় মানুষের ভয়ে
আমিও ব্যর্থ এক অক্ষম ঈশ্বর
দিব্য অস্ত্রশস্ত্র হীন ব্যর্থ বাগাম্বড়
নেই সে মহাফণী চূড়ার উপর
নেই সে অমিত শূল বধীতে অসুর
কিন্তু মন্থন থেমে যায় নি এখনো,
অমৃতের দেখা নেই , ক্রমাগত ঝলকে ঝলাকে উঠছে গরল
সে বিষের মহাভার আশ্রয়ের তরে আমায় খুঁজিছে
এইটুকু ঐশ্বরিক, নীলকণ্ঠে এখনো লেগে আছে |
------ শ্রীতরুণ (৩১/৭/২০১৫