মাঝে মাঝে কবিতার পাতা বড় বেশী বেয়াদপ লাগে
চোখ রাঙিয়ে কাছে ডেকে,
মুখ এনে মুখের আগে
কান পেঁচিয়ে ধরে বলে - শালা, খুব যে কবি হবার শখ  
কবীন্দ্রের পাদোদক ক ঘটি গিলেছিস  করে ঢকঢক ?
আজ তোকে ছাড়ছি না , পেয়েছি যে বাগে  |


দ্যাখা  দেখি - হিসাব কষে ,  
কতবার প্যান্টালুনের নীচে  
মেরেছিস ল্যাঠা মাছে, দিয়ে আধ্যাত্মিক বাঁশ  
প্রানের দেবতার ঘরে
ঘু ঘু হয়ে ঘুরে ঘুরে
কতখানি চোখের জল ঝরিয়েছিস বাপ  ?


কি ভেবেছিস হতভাগা  
পদ্য লেখা এত্ত সোজা
ছন্দের পাঠশালে বসে
পেছন রগড়াও কষে  
যতক্ষণ না চামড়া উঠে হয় বেবুন লাল
অন্তমিলের খাল কাটিবে  
কাব্যিকতা কুমির হবে
আসবে হামাগুড়ি দিয়ে
বিদ্যা বুদ্ধি যাবে ধুয়ে
কাব্য দেবী খুশি হয়ে, করবে মালামাল |


শালা উজবুক পাঁঠা, গদ্যে কবিতা লেখা !
কে দিয়েছে পারমিসান এহেন কাদা ঘাঁটা ?


দুছত্র লিখেতে বসে
মিল খুঁজে যাবি ফেঁসে
রচনাবলী আগাপাস্তলা ঘেঁটে  
ঝেড়ে আনবি শব্দ নেটে  
মাথার চুল ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলবি  অকাল টাক
তবে হবে কবিতার লাইন
ছন্দ বন্ধে সুপার ফাইন
বিদ্বজ্জনে দুহাত তুলে করবে হাঁক ডাক |


তারপরে আর কে পায় তোকে
কবির আসরে তেলাবে লোকে
না যদি দেয় , গালি দিয়ে করবি আসর মাত
নিজের ঢোল নিজে পেটাবি
নিজে নিজেই মহাকবি হবি
কনট্রোভার্সির ক্যানেস্তারা বাজাবি ধিন তাক |


                     ---- (২১/১০/২০১৫)