এই চাল ডাল তেল নুন,  প্রতিদিনের হাট
এই ছেঁড়া চটির দাঁড় বাওয়া, বন্ধ কপাট
সর্বত্র হেরে ভুত, পালিয়ে পালিয়ে
শেষ সম্বল মুখ লুকাতে কবিতার আশ্রয়ে


কবিতা কি পারে দিতে ছায়ার আকাশ
কত টুকু পারে সে দিতে মিহিন বাতাস


কবিতা বিরাম দেয়, দেয় শব্দঘোর
তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়, বেগানা চকোর
নীচে চিতাকাঠ উপরে সজায় বিছানা
কাঁড়ি কাঁড়ি দুঃস্বপ্ন পাঠায় ঘুমের ঠিকানায়
হাতে বোতল বন্দী দৈত্য, মনে ছিপি খোলার ভয়
বুকে ক্ষয়কাশ দেয়, সোচ্চার বিদ্রোহের সময়


নিজেকে আবিষ্কার করতে শেখা  কবিতার দান
এইটুকুর বদলে সে চেয়ে বসে অর্ধেক জীবন
ঘাঘি বেশ্যার মত আবহ সঙ্গ সুখ
নিয়তির মোড়কে দেয় অন্তর্গত অসুখ ...।


কখনো দুপায়ে মাড়িয়ে আমি ছুঁড়ে ফেলি তাকে
কখনো সে লাথি মেরে ছেড়ে যায় আমাকে
এভাবেই চলতে থাকে ভাব  আর ঘৃণা
কেউ কাউকে এক দণ্ড ছেড়ে, থাকতে পারিনা ।  


                    ----(৯/১২/১৫)