আজকাল বুঝি খুব ভালো ঘুম হয় তোমার?
প্রিয়তমের বুকের ওমে কেটে যায় দীর্ঘ রাত্রি বর্ষার।
মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে বুকের বাম পাশে আর ব্যথা করে?
দরুণ জ্যোৎস্নায় চাদের বুকে তুমি খোঁজো কারে?
হৃদয়ের শূন্যতা কোমল পরশে কে রেখেছে ভরিয়ে?
বুকের নরম ঘাস পূর্ণতা পায় কারে জরিয়ে?
স্রোতস্বীনির বিহনে কি পরিবর্তন এসেছে কিছু জীবনে তোমার?
জানি আজকাল ব্যস্ততার চাপে সেসব কথা ভাবার সময় মেলে না আর।
আচ্ছা আজকাল কি তোমার এক ঘুমে রাত ভোর হয়?
নিয়ম করে খাচ্ছ, অফিস করছ আর বাকী সব....
যার যা কিছু কম পরেছিল সেসব দ্বিগুণ করে পুষিয়ে; তুমি পোষ মানাবে জানি।
তোমার ভুবন জুড়ে আজ প্রাচুর্যের হাতছানি!
জানি সে ভরাট জীবনে স্রোতস্বীনির নেই স্থান।
তার জন্য তোমার বরাদ্দ কেবল অপজ্ঞান।
ঝুলিতে তার সম্বল বলতে আছে তাই শুধুই আত্মাভিমান।
আর বয়ে চলা জীবনের ভারে ক্লান্ত একাকী নিঃসঙ্গ এক প্রাণ!
নির্ঘুম রাতে কলিজা শুকায় তৃষ্ণায়!
তোমার শরীরে যখন দখিনের হাওয়া পরশ বুলিয়ে যায়।