নির্জন দুপুরে তপ্ত মরু পথে
মুসাফির আমি মঞ্জিল বিনে,
চলিয়াছি পথ মরীচিকার সাথে
উন্মাদ আমি, ক্লান্ত দেহ মনে।


ঝাপসা নয়নে, দেখিয়াছি প্রহেলিকার খেলা
সম্মুখে মরূদ্যান, ঝর্ণার কলরব,
জ্ঞানশূন্য দিক- বিদিক, ছুটিয়াছি একেলা
দু'চোখে নামিল আঁধার, সর্বাঙ্গ করিয়া নিরব।


সহসা নয়ন মেলিয়া দেখি জীর্ণ কুটিরে
খোলা আকাশ বর্ষিছে জোছনার আলো,
ক্ষণিক পর, জোছনারা ঢাকিল তিমিরে
চারিদিকে সূর্যের আভা, এই বুঝি সকাল হইলো।


কিন্তু একি, এযে ইন্দ্রপুরীর অপ্সরীর রুপের আলো
বাক রুদ্ধ অনিমেষ নেত্রে দেখিলাম মহাকাল,
সহসা সুরের মূর্ছনা, স্তব্ধ রাত কম্পিত হইলো
সম্বিত ফিরে পেলাম, ক্ষণকাল পর হইলো সকাল।


বলিল সে মরু কন্যা, বিদায়ের ক্ষণে
রবে কি মোর কুটিরে, একেলা আমি অসহায়,
বলিলাম আমি, ক্ষণকালের এই নশ্বর জীবনে
মুসাফির আমি ভবঘুরে, পিছুটান নাহি চাই।


তারপর কাটিয়াছে সহস্র রজনী মরুভূমির প্রান্তরে
দেখিয়াছি অজস্র রমণীর ছলনাময় আঁখি,
তবু পারিনি  ভুলিতে, শত নিশি ভোরে
সে মরু কন্যারে, আজো মনের ক্যানভাসে আঁকি।