“বাংলাদেশ” বড় অদ্ভুত লাগে নামটা।
মাঝে মাঝে নিজের অজান্তেই লিখি,
BANGLADESH I LOVE YOU.  
বাংলায় লেখা হয় না।
পরক্ষণে ঘোর কাটলেই বাক্যটা
কেটে দেই; ভাবি-আমি কি ভালোবাসি?
আসলে কেউ কি ভালোবাসে?
মুক্তিযোদ্ধারা সবাই কি এদেশকে
ভালোবেসে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলো?
নাকি গিয়েছিল জহির রায়হানের
“সময়ের প্রয়োজনে” বুঝি না।
আর আমি এখন বুঝতেও চাই না,
এই আমি, যে মুক্তিযুদ্ধের অনেক অনেক
পরে জন্মেছি সেই আমিই যখন মুক্তিযুদ্ধের
গল্প পরে অঝোরে কাঁদতে পারি।
তখন দেশপ্রেমিক যোদ্ধারা বর্তমানের
বাংলাদেশের জন্য কি হতাশ হন না?
তাঁদের হৃদয় কী হু-হু করে কেঁদে ওঠে না?
স্বপ্ন আবার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে কি স্বপ্ন দেখেন না?
নাকি বাস্তবতার নিষ্ঠুর যাঁতাকলে
পিষ্ট হতে হতে তারা অনুভূতিহীন
অসাড় হয়ে গেছেন; বুঝি না।


আমার বয়সীদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে
অনাগ্রহ দেখে খুবই হতাশ হই; তখন
আপনাদের এই দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের
প্রতি খুব রাগ হয়; ভাবি-একবার যখন
জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে গিয়েছিলেন।
এখন আর একবার জীবনকে সঁপে দিয়ে
নতুন যুদ্ধে নামেন না কেন?
আর একবার বিজয়ের আনন্দটা
আচ্ছাদন করতে চায় আমরা, এই তরুণেরা
আমি-আমরা-এই তরুণেরা যুদ্ধে যেতে চাই,
কিন্তু আমার-আমাদের-তরুণদের পাঞ্জেরি কই,
আমার-আমাদের-তরুণদের মুখে এখন স্লোগান,
“পাঞ্জেরী চাই”,“পাঞ্জেরী চাই”,“পাঞ্জেরী চাই”।।