ভোকাট্টা
-----------


একটা ছেলে ছিল। মাঞ্জার মতো ।
কর্কশ। খরখরে।
একটা মেয়ে ছিল । ঘুড়ির মতো।
ঝকঝকে । ফুরফুরে।


একদিন হঠাত্,মিলে গেলো দুই জনে।
উড়লো ঘুড়ি।হুশ্ করে। চনমনে।


পেরিয়ে গেলো সাত-সমুদ্র-নদী,
তেপান্তরের মাঠও এলো ফেলে,
মেয়েটা বল্লো উড়বো আরও আরও।
পাল্লা দিয়ে লাটাই ছাড়ে ছেলে ।


এই ছেলে তোর,জোর ফুরলো নাকি?
নিয়ে চল আরো অনেক দূরের দেশ।
প্রাণপনে ছাড়ছে সুতো ছেলে,
সুতো ফুরোচ্ছেএএএ ...
এই যাহ! সব শেষ।


মাঝ আকাশে আটকে গেল ঘুড়ি।
একই খানে । ঘুরেফিরে,রাতভোর।
আলতো করে কাটলো সুতো ছেলে।
এবার থেকে,গোটা আকাশটা তোর।


গোঁত্তা খেয়ে উড়লো ফের ঘুড়ি,
বাধাহীন।টগবগে । চনমনে,
ছোটো হতে হতে হারিয়েই গেল বুঝি
আকাশের এক অনেক দূরের কোনে।


মনখারাপের একলা বিকেলে আজও
লাটাই হাতে একলা মাঠে ছেলে।
আকাশপানে তাকিয়ে বলে কথা--
কতদূর গেলি?ঘুড়ি তুই? ঝলমলে?


উড়তে উড়তে কাটছে ঘুড়ি
এক দুই তিন চার।
নতুন লাটাই নতুন মান্জা
ক্ষুরের মতো ধার।