বন ভুজুনা বন ভুজুনা
আমরা বলি চড়ুই-ভাতি
নদীর তীরে খাওন দাওন
সারাটা দিন মাতা-মাতি।


পৌষ পেরিয়ে মাঘ পড়লে
শীতটা নামে গুটিয়ে
মনটা নাচে, নদীর ধারে
করব মজা জুটিয়ে।


সবার কাছে চাঁদা তুলি
পঞ্চাশ একশ যাই হোক
"ভ্যান পাইনি গরুর গাড়ি"
আচ্ছা তবে তাই হোক।


উচ্ছে বেগুন কুমড়া আলু
আর যত সব তরকারি
শুক্র বারে হাটের দিনে
সাবাই মিলে হাট করি।


গদাই বলে"আচ্ছা এবার
মাংস কোনটা করবি?"
দেখি টাকায় কেমন পোসায়
হাঁস কিম্বা মুরগী।


মালপত্র বোঝাই করা
গরুর গাড়ি চলছে রে
গরুর গলার ঘন্টা বাঁধা
প্রান্টা আমার দুলছে রে।


কাগজ ফুলের ডাল ঝাকিয়ে
ঝগড়া করে শালিক-এ
মনে পড়ে সেই ছড়াটা
"খোকোন ফুলের তুমি কে?"


পথের ধারে ঝোপে ঝাড়ে
ছিঁড়ছে গায়ের জামা-টা
ধুর! আজকে চড়ুই ভাতি
মানবে কে আজ মানা-টা।


নদীর পাড়ে ঘাসের ধারে
নরম বালির ঢিপিতে
কেও লাফ কেও ডিগবাজী দেয়
কেও রাখে পা ডুবিয়ে।


সারাটা দিন হই হুল্লোড়
আকাশ যেন হাসছে ওই
কেও বা আবার নদীর জলে
গা চুবিয়ে ভাসছে ওই।


দুপুরটা তো গড়িয়ে গেল
হয়ে এল প্রায় রান-না
অনেক হলো মাতামাতি
এখন তবে আর- না।


সবাই মিলে খাবার খাব
নদীর ধারে বসে রে!
"বনবুড়ি কে দিয়ে খাবি"
মা বলবে হেসে রে।


সূর্য তখন আলতা গোলা
লাল রঙের ওই থালা-টা
বেলা তো প্রায় ডুবেই এল
এবার ফেরার পালা-টা।


যাবার বেলায় ফিরে তাকাই
কাঠের উনুন জ্বলছে ওই
এঁটো পাতা, মশলা প্যাকেট
হাওয়াতে সব উড়ছে ওই।


পথের ধারে কৃষ্ণচূড়া
কেমন করে দুলছে-সে
পরের বছর ফিরবে আবার
আমায় যেন বলছে -সে।


চড়ূই ভাতি চড়ুইভাতি
দারুন মজা ভাই রে
নদীর ধারে এমন মজা
সবদিনই কি হয় রে।