সোনার তৈরি আমল হাঁড়ি
তলটা যখন ফুটো,
নিত্য ঢালছি আমল বারি
নয়তো খড়-কুটো।
বে-খেয়ালে তার ফুটো দুটো
ভাবনায় নাহি ছিল,
রাখছি হাঁড়ি খুব যত্ন করি
ভিতরটা এলোমেলো।


নামাজ, রোজা, হজ্ব,  যাকাতে
কোনটি কমতি নয়,
অহংকার আর হিংসার ফুটোয়
খালি করে দেয়।
ঢাকনা তাহার ঈমানের নয়
লোভের পুরু ধাতুর,
উপর থেকে পরিস্কার তাহার
ভিতরে নোংরা চাতুর।


ঈমানের প্রলেপ নাই হাঁড়িতে
বক সাদা তার রূপ,
জলজল করে জ্বলছে হাঁড়ি
নোংরা ভিতর খুব।
হাঁড়ির মালিক বলছে তারে
উভয় থাকুক ভালো,
ভিতর রাখো খুব পরিস্কার
বাহির হলেও কালো।


ছয়টি ফুটো থাকতে পারে
হাঁড়ির ভিতরটায়,
সবগুলোই তার মেরামত করে
আমল রাখো তায়।
ভরবে আমল হবে কামেল
ভর্তি থাকবে হাঁড়ি,
বাজবে না আর আঘাত পেলে
যতই হবে ভারি।


যারা গুন বিচারী করেনা চুরি
মালিকের প্রতি ভয়,
যত্নে রাখে তার সোনার হাঁড়ি
না হতে দেয় ক্ষয়।
কোন রিপুর ছোঁয়া পায় না যেন
খায় না যেন ঘুনে,
অল্পস্বল্প যা হোক আমল তা
রাখে হাঁড়িতে গুনে।


২২/৪/২১
আমতলী বরগুনা