***********************


হারানো দিনগুলো আজ স্মৃতিতে ভাসে,
সে দিনগুলো ছিলো যেন হতাশার বেশে।
জমিজমা ছিলো অনেক নাহি ছিলো ধান,
ভাসিয়ে নিতো সকল আসতো যখন বান।
দুর্ভিক্ষ, দূরাবস্থা, তখন অনাহারীর বেশে
না খেয়ে মরছে মানুষ এই বাংলার দেশে।
দুর্যোগ আর মহামারি লেগেই থাকতো প্রায়,
অসহায়ে মানুষ তখন করছিলো হায় হায়।


স্বাধীন পরবর্তী মোদের অনুন্নত এই দেশ,
সাহায্য সহোযোগিতা ছাড়া হয়েছিলো শেষ।
রাস্তাঘাট ছিলো না তখন নাহি ছিলো বাঁধ,
হতাশার চাদর মুড়ানো ছিলো না কারো হাত।
যা ছিলো নিজেদের সম্পদ তা দিয়ে না হতো
অর্ধাহারে অনাহারে সবে দিন কাটায়ে নিতো।
আলু-ভাত, আটার রুটি খেয়ে কাটতো দিন
কারোই তো নাই অর্থ-কড়ি দিবে কারে ঋণ?


অবৈজ্ঞানিক চাষাবাদ কীটপতঙ্গের বালাই
সুযোগ সুবিধা নাহি ছিলো উপায় ছিলেন শাঁই।
সেদিন বন্যায় বাঁধভেঙে হারায়ে কত স্বজন,
ঘর-বাড়ি ভেঙে গিয়ে নিঃস্বতায় জন-জীবন।
কাজ-কর্ম নাহি ছিলো, ছিলো না কোন আয়
চালের অভাবে জীবন বাঁচাতে নদীর মাছ খায়।
মাছ ছিলো ভাত ছিলো না, ধান ছিলো না মাঠে,
মাছ দিয়ে কি আর হবে বিক্রি ছিলো না হাঁটে।


জমিজমা অনেক ছিলো, ছিলো না তো কাজ
পেটেই তখন ভাত ছিলো না কে করিবে সাজ?
লোক ছিলো না তেমন বেশি জমির তুলনায়,
সুষ্ঠ চাষাবাদ ছিলোনা তখন না ছিলো উপায়।
সচেতনতা ছিলো না কারো অশিক্ষিতে ভরা,
বন্যা, দূর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস আরও ছিলো খরা।
আধুনিক ব্যবস্থা ছিলো না সবকিছুতেই ধরা,
দিনগুলো এমনই ছিলো হতাশা ছিলো ভরা।
**************************
২৩/০৯/২০