( পিতা তার পুত্রকে কোন জমিজমা দিতে না পেরে নিজের মনের কষ্ট প্রকাশ করে। পিতার ভুলের জন্য পুত্র হলো অসহায় ভুমিহীন। বলা যেতে পারে পিতা ভুল না করলে হয়তো পুত্রের জন্ম হতো না।)


ত্রিশটি বছর কষ্টে কেটেছে; খেয়ে না খেয়ে দিন,
ভূমিষ্ট হলো ধরনীর বুকে, পুত্র ভূমিহীন।
নিজের ভুলের মাশুল দিতে এতো বছর যায়,
আবারও বিয়ে করেছিলাম বলে, রেগেছে পিতায়।
পিতা আমার রেগে গিয়ে জমিজমা নাহি দেয়
সকল জমি দান করিলেন,পূর্বের নাতনীদের কৃপায়।
এখন আমি শূন্য হাতে দ্বিতীয় পক্ষ নিয়ে বিপাকে,
জমি-জমা বাদ দিয়ে তাই শ্রমে নেমে যাই।
কি করিবো কোথায় যাবো ভেবে না পাই কূল,
দ্বিতীয় পক্ষে জন্ম নিলো ফুটফুটে এক ফুল।
আমি না হয় মরে যাবো পুত্র অসহায়,
নিজেই হয়তো ভুল করিলাম, দিবো কারে দায়।
কোথায় হবে আস্তানা তার, নেই তার ঠিকানা
কিভাবে কোথায় থাকবে পুত্র, মন যে মানেনা।
ভাসছি আমি অথই পাথারে যাইনা কারো দাঁড়ে,
তারে নিয়ে অসহায় হয়ে, ভাবছি বারে বারে।
শিক্ষা-দিক্ষা করাবো ভাবি, চেষ্টা অবশেষে
প্রভুর নাম জপে জপে চলছি নিরুদ্দেশে।


পুত্র আমার বড় হয় পড়াশুনায় ব্যস্ত রয়,
মেধা-মনন অনেক কিছু আল্লাহ দিয়ে দেয়।
চেয়ে থাকি প্রভুর দিকে করুনা নয় কারো
বাবা তুমি এক অসহায়, শক্ত করে হাল ধরো।
অতি কষ্টে পড়া শেষে চাকরী পেয়ে যায়,
পুত্র আমার সবার মুখে হাসি ফুটায় দেয়।
একে তো ভূমিহীন এর মধ্যে আছে ঋণ,
দিনে দিনে সকল ঋণ হলো যে বিলীন।
দূঃখ লাগব হয়ে যায় সুখের ছোয়া গায়ে,
এখন আমি কর্মহীন জুতা থাকে পায়ে।
চাকুরী হলো টাকা হলো জমিজমা কত,
সবকিছুই তো পরিপূর্ণ লাগবে যেথা যত।
জমি কিনে বাড়ি করে দালানও বানায়
সব কিছুতে পূর্ণ তার, সেরা হলো গায়ে।
কিনলো কত জমিজমা, সুখে কাটায় দিন,
আমার থেকে না পেয়ে পুত্র এখনও ভূমিহীন।


২৫/০৩/২০
আমতলী, বরগুনা