******************


যোগ্যতায় সে প্রশ্নবিদ্ধে
সন্দেহ তার সনদপত্রে,
কেমন করে করলো পাশ, বিএ!
চাকুরির পিছনে ঘুরে,
পাইতে চায় সে যেমন করে;
যত লাগুক টাকা-পয়সা দিয়ে।
আবেদন সে করতে নারাজ
চাকুরীতে আবেদন কেন মহারাজ!
একটু খানি দেখাই দিবেন? ইয়ে!!


মামা হলো মোর সভাপতি
সেই তো মোর করবে গতি,
টাকা-পয়সা যত লাগুক দিয়ে।
হেসে বলে এ কথা,
চাকরী তো নিশ্চিত ওটা;
কমিটির সব ম্যানেজ, টাকা দিয়ে।
মেধা দিয়ে কি হবে?
যার মামা-টাকা নাহি রবে;
সে, মেধা ধুয়ে পানি খেয়ে যাবে!


ছিলো মামা দুইবার এম. পি
এবার তো সে মন্ত্রী,
আমার একটা ব্যবস্থা তো হবে!
মামার জোরে টাকার জোরে
মেধাগুলো পিষে মরে,
ইতিহাসে বেকার সংখ্যা বাড়ে।
মেধাহীন জাতি মোরা
অফিস চলে পিওন দ্বারা,
অফিসার সব রাজনীতির দাঁড়ে।


নিয়মনীতি কিছুই বুঝে না
আসল-নকল খোজে না,
অবৈধ টাকায় অট্টালিকা গড়ে।
আনন্দে কাটে তাদের দিন
না আছে ব্যাংকে ঋণ,
ক্ষমতা চালায় সবার দাঁড়ে দাঁড়ে।
যখন মামার মন্ত্রীত্ব নাই,
দুদক এসে সামনে দাঁড়ায়,
বস্তায় বস্তায় টাকা পায় তার ঘরে।
সব করে দেয়  বাজেয়াপ্ত
ব্যাংক হিসাবের বই পত্র,
সব কিছুই ধরছে একত্র করে।


মেধার নিয়োগ হলে পরে,
দেশ যেতো উন্নতির শিরে;
ব্যক্তিগত উন্নতি করতো নারে।
মেধাবীদের বিবেক আছে
ঘুষ বিহীন চাকুরীতে আসে;
টাকা-পয়সার লোভ নাহি সে করে।
সংশোধন হও দেশবাসী
না গড়িলে মেধাবী জাতি,
ধ্বংস হবো মেধাহীনতার ঘোরে।


*********************
৮/১১/১৯
বটতলা, বরিশাল।