নাতনীদের দেখে রেখো
বিদায় দাও এবার,
এটা হলো মৃত্যুতে এক মায়ের
আর্তচিৎকার।
ওদের আর কে বা আছে
এখন তুমি ছাড়া,
ওদের বাবা খোঁজ কি রাখবে?
মা তো এখন হারা।
কয়েকদিন পরে মেয়েটি মরে,
ছেলেটি রয়ে যায়।
বাবার এখন বিয়ের পালা,
ঝামেলা হলো বিদায়।
বাবার বিয়ে হয়ে গেলো
ছেলের না নেয় খোঁজ,
নানীর ছায়াতলে সে যে
বড় হচ্ছে বেশ।


হঠাৎ একদিন বাবা গিয়ে
ডাকলো কাছে ছেলে,
তাকে আমি নিয়ে যাবো
ভর্তি করবো হাই স্কুলে।
পড়াশুনা করবে সেথায়
থাকবে সেথায় ভালো,
এখানে থেকে কাজ করে
হয়ে গেছে কালো।


সৎ মায়ের আদর-
আপন পুত্রের নতুন জামা
সৎ পুত্রের পুরানো থাক,
নিজের ছেলে কষ্ট হবে তাই
পরের ছেলে মাঠে যাক।
আপন পুত্র পছন্দ করে
মাছ, মাংস আর দুধ,
ঐ ছেলেকে দিবো কেন
সে কি আমার পুত?
কাজের সময় আয়রে বাবা
খাবার সময় নাই,
টাকা-পয়সা দিলে তারে
থাকবো না আর যাই।
আপন ছেলের স্কুল আছে
পড়ার সময় বয়ে যায়,
পরের ছেলে স্কুলে গেলে
বাড়ির কাজ কিভাবে হয়?
সৎ ছেলের পড়তে হবে না
সংসার হবে তার,
আপন ছেলে করবে চাকুরী
আশা করে বার বার।
গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে সে যায়
মনে রাখে রেষ,
পড়া শেষে সৎ ছেলের
চাকুরী হলো বেশ।
আশা হলো তো শেষ
আর কত বিদ্বেষ,
আপন ছেলে নেশায় পরে
হলো নিরুদ্দেশ।
নিজের ভালো করতে গিয়ে
হয়ে গেলো পাপ,
এড়িয়ে থাকা হলো না যে
নিয়তির অভিশাপ।
২০/০৩/২০