**************************
শিখতে হলে গ্রামে আসো শহরে যাও পরে,
অনেক কিছু শিখার আছে গ্রামীণ পরিবারে।
আদব-কায়দা, শালীনতা,  দিতে হয় সম্মান,
কিভাবে করে কৃষি কাজ কিভাবে হয় ধান।
শেখার আছে অনেক কিছু মানবতার গান,
কষ্ট, দুঃখ শিখতে পারবে মেধার হবে শান।
মাটির সাথে মিশতে পারবে শিখবে সাঁতার,
ফসল ফলাতে কষ্ট কেমন কৃষাণ পিতার।
দেখবে কষ্ট আছে কত রকম, কত রঙের সুখ,
মাঠে-ঘাটে রৌদে খেটেও হাসিতে ভরা মুখ।
জেলেরা চলে গভীর জলে ডিঙি নৌকা বায়,
কেমন করে সাগর পানে ঢেউয়ের বুকে যায়।
রাস্তা-ঘাটে কাদায় মাখা পিছলে চলে পায়ে,
বেশি বৃষ্টিতে ডুবে গেলে নৌকায় চলতে হয়।
স্কুল যাদের অনেক দূরে দুই গ্রামের পর,
ছেলে-মেয়েরা হেঁটে চলে বলতে হয় না পড়।


অশিক্ষিত বাবা মায়ে, মাঠে করে কত কাজ,
পরিশ্রম করে সারাটাদিন নাই তাদের সাজ।
ছেলে-মেয়েরা পড়া শেষে খেলে বিকেল বেলা,
একা একাই পড়তে বসে করে না তো হেলা।
বিদ্যালয়ে শিখিয়ে দিলে বাসায় এসে পড়ে,
শিখানোর নাই অন্য কেহ অশিক্ষিতার ঘরে।
নিজের দায়িত্ব নিজে নিয়ে নিজেকে নিজে গড়ে,
অলসতা নাই তাদের অপেক্ষায় থাকেনা পরে।
সংগ্রাম শেখতে গ্রামে আসো বাস্তবতা কত কঠিন,
ঝর-জলোচ্ছ্বাসে বেঁচে থাকে কেমনে গ্রামীণ।
মাটির সাথে নদীর সাথে গড়ছে তাদের গতর,
মাটির গন্ধের সুবাস গায়ে যেন তাদের আতর।
সাদাসিধা সব গ্রামের মানুষ সাদা তাদের মন,
বড় চিন্তা মাথায় আসে না সর্বদাই মুখে গান।
হাসি খুশি চেহারা তাদের শুকনো দেহ খানি,
শত কষ্টেও ঝরে না যেন তাদের চোখের পানি।


****************************
০৮/০৯/২০
আমতলী, বরগুনা।