একবার তাকাও আমার পানে, আমি সেই মানুষ ;
চিনতে পেরেছো কি ?
জানি চিনবেনা, তোমার আমার বিচ্ছেদ
সে তো অনেক দিন আগের কথা ।
তখন আমি সদ্যজাত এক মানব শিশু ,
শুধু হাত পা নাড়তে আর কাদতে শিখেছিলাম ।
একটি বারের জন্য তুমি আমায় বুকেও তুলে নিয়েছিলে,
তবে রেখেছিলে আচলের তলে লুকিয়ে ;
ক্ষুধার জ্বালায় চিৎকার করে কেদেছিলাম আমি,
তুমি দিয়েছিলে কয়েক ফোটা জল ।
তোমার স্তনে আসা দুধের নহর, যার উপর
আমার ছিল ষোল আনা অধিকার ;
বঞ্চিত করেছিলে তুমি আমায় ।
এরপর ডাষ্টবিনে ঠাঁই হলো আমার ,
দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারন করে,
তীব্র প্রসব বেদনা সহ্য করে, পৃথিবীতে আনলে যাকে ,
এক মূহুর্তে তাকে লাওয়রীশ করে দিলে ;
কপালে তার জারজের তকমা লাগিয়ে দিলে ।
মৃত্যুর ফেরেশতা আজরাইলের চোখ এড়িয়ে,
বেচে আছি আজও আমি ;
বেচে আছি শুধু তোমার মুখোমুখি হবো তাই !
কি করে পারলে বলো নাড়ীর বাঁধন ছিড়তে ?
মা হলে কিন্তু স্বীকার করলে না মাতৃত্বকে !
অগোছালো জীবন ছিল তোমার,
বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছিলে !
বেকার ছেলের প্রেমে মজে সতিত্ব হারালে !
আমায় জন্ম দিলে ,দিলেনা আমার পরিচয় ;
তুমি আর তোমার প্রমিক ,
আজ আমার কাঠগড়ার আসামী !
তোমাদের কাছে  প্রশ্ন শুধু একটাই আমার,
আমি কেন হারামজাদা ?
***************
"ডাষ্টবিনে নবজাতক শিশুর লাশ " সংবাদটি পড়ে কবিতাটি লিখেছিলাম, কবিতাটি সমাজের অবহেলিত পিতৃমাতৃহীন শিশুদেরজন্য উৎসর্গ করলাম