আলিফ লাম মীম।
এই সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই ,
পথ প্রদর্শনকারী কর্তব্যনিষ্ঠদের জন্যেই ।
যারা অদৃশ্যে বিশ্বাসকারী আর নামাজ পড়ে
আর আমি যা দিয়েছি তা থেকে খরচ করে ।
এবং যারা বিশ্বাস করে তোমার ও তোমার পূর্বের
নবী রাসূলদের প্রতি অবতীর্ণ সকল কিছুর উপরে ,
আর পরকালকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে ।
তারাই সুপথ প্রাপ্ত নিজে দের পালনকর্তা হতে .
আর তারাই যথার্থ সফলকাম এ গ্রন্থ মতে ।
যারা কাফের হয়েছে নিশ্চিত তারা ঈমান আনবে না ,
ভয় দেখান আর না দেখান তারা ঈমান আনবে না ।
আল্লাহ তাদের হৃদয় কান বন্ধ করে দিয়েছেন ,
তাদের চোখ গুলোকে পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন ;
আর তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছেন ।
মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা
মুখে বলে আমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী ,
বাস্তবে তারা তা নয় প্রকৃতই তারা অবিশ্বাসী ।
তারা ধোঁকা দেয় আল্লাহ ও বিশ্বাসীদের
বস্তুত তারা ধোঁকা দেয় নিজেরা নিজেদের ,
অথচ তারা তা অনুভব করতেও পারে না ।
তাদের অন্তঃকরণ ব্যাধিগ্রস্ত আর আল্লাহ
তাদের ব্যাধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন ,
বস্তুতঃ মিথ্যাচারের দরুন ভয়াবহ শাস্তি
আল্লাহ্ তাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন ।
সূরা বাকারা, কুরআনের সবচেয়ে দীর্ঘতম সূরা, আয়াত সংখ্যা ২৮৬, এটি সূরা ফাতিহার পর দ্বিতীয় ক্রমে এর অবস্থান। হাদিসে রয়েছে যে ইহা মদিনায় নাযিল হওয়া সর্বপ্রথম সূরা, তবে এই সূরায় একটি আয়াত আছে যে টি আসমান থেকে নাযিলকৃত শেষ আয়াত যা বিদায় হজ্জের সময় মিনায় কোরবানীর দিন নাযিল হয়েছে। সুদ সংক্রান্ত আয়াতও কুরআনের প্রথম দিকে নাযিল হয়। খালিদ বিন মা'দান বলেন, এ সূরার মর্যাদা, মহিমা, হুকুম-আহকাম ও উপদেশের আধিক্য ইত্যাদি কারণে একে ফুসতাতুল কুরআন (কুরআনের বসতি) বলা হয়। উমর ইবনুল খাত্তাব এ সূরাটির আইনশাস্ত্র এবং এতে যা আছে তা শিখতে বারো বছর সময় নেন, যেখানে তাঁর পুত্র আবদুল্লাহ ইবনে উমর আট বছরেই শিখে ফেলেছিলেন। কারণ এ সূরাটি একেবারে নাযিল না হয়ে ধাপে ধাপে নাযিল হয়।
নামকরণ
বাকারাহ মানে গাভী। এ সূরার ৬৭ থেকে ৭৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত হযরত মুসা এর সময়কার বনি ইসরাইল এর গাভী কুরবানীর ঘটনা উল্লেখ থাকার কারণে এর এই নামকরণ করা হয়েছে।
সূরা আল-বাকারার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে:
1. এটি কোরানের দীর্ঘতম সূরা।
2. এতে পবিত্র কোরআনের শেষ আয়াত রয়েছে।
3. এটি কোরানের দীর্ঘতম আয়াত (ঋণের দায়েনা আয়াত) ধারণ করে।
4. এতে রয়েছে কোরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত (আয়াতুল কুরসি)।
5. নবীর জীবনীতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ সূরা কিয়ামতের দিন তার পাঠকের পক্ষে লড়বে, এ সূরাতে রয়েছে ইসমে আজম, তাকে এটি দ্বারা ডাকা হলে তিনি উত্তর দেন এবং এটি আকড়ে ধরা আশীর্বাদ এবং এটি ছেড়ে যাওয়া অনুশোচনা, এবং যাদুকরেরা এটি বহন করতে পারে না।
মানব জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ইসলামী শরীয়া ভিত্তিক বিধান দেয়া আছে আমি পর্যায়ক্রমে সেই আয়াত গুলোর বাংলা কাব্যানুবাদ করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ্ ।