সূরা আল ফালাক ( নিশিভোর / ঊষা  )


বিতারিত শয়তান থেকে আল্লার কাছে আশ্রয় চাইছি,
পরম করুনাময় ও দয়ালু আল্লার নামে শুরু করছি।


বল, আমি ঊষার প্রভুর কাছে
আশ্রয় চাই ,                                         ১
তার সৃষ্টি কুলের ক্ষতি থেকে
বাঁচতে চাই  ।                                       ২


আশ্রয় চাই ব্যাপ্ত আঁধার রাতে ঘটা
ক্ষতির হাত থেকে ,                                 ৩
চুলের গিটে ফুঁ দেয়া জাদুকারিনীর
করা অনিষ্ট থেকে  ।                                 ৪


আশ্রয় চাই হিংসাকারী মানুষ হতে                      
যে শুধু অনিষ্ট করে ,
অনিষ্ট করে তখনই তারা মানুষের
যখন সে হিংসা করে ।                             ৫



এই সূরাটি এবং এর পরবর্তী সূরা আন-নাসকে একত্রে মু'আওবিযাতাইন (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু'টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়।  মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১৩ তম সূরা; এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৫ এবং রুকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আল-ফালাক মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে; এর পাঁচ আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা হয়


**************


সূরা ইখলাস ( স্রষ্টার একত্ববাদের ঘোষণা )


পরম করুনাময় ও দয়ালু আল্লার নামে শুরু করছি।


বল আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়               ১
আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নয়              ২
তিনি কাউকে জন্ম দেননি
কেউ তাকে জন্ম দেয়নি                   ৩
কেউ ই তাহার সমতুল্য নয়               ৪


মুশরিকরা হযরত মুহাম্মদ (স:) - কে আল্লাহ্‌ তা'আলার বংশ পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল , যার জওয়াবে এই সূরা নাযিল হয়। অন্য এক বিবরণে আছে যে , মদীনার ইহুদিরা এ প্রশ্ন করেছিল। আবার কোনো কোনো বর্ণনায় রয়েছে যে , তারা আরও প্রশ্ন করেছিল- "আল্লাহ্‌ তা'আলা কিসের তৈরি ? স্বর্ণ-রৌপ্য নাকি অন্য কিছুর?" এর জওয়াবে সূরাটি অবতীর্ণ হয়েছে ৷ আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষনা সম্বলিত সূরাটি মক্কায় অবতীর্ন হয় , কোরআনের ১১২ তম সূরা ,আয়াত সংখ্যা ৪ ( চার ) ।