কবির পাতায় দারিদ্রতা ঢাক নিয়েছে শহরের যৌলুসতায়;
অল্পদুরে- যে কুমোর বাড়ি, মনে বাঁধে সে দালান বাড়ি,
স্ত্রী যে তাঁর অসহায়-নারী, দরিদ্র প্রাণপাখি যে বড়ই ভারি।
ছাদ ফুটো টালির ঘর, বৈশাখের রোদ যে তাই গুপ্তচর;
শ্রাবণ মাসে গলছে দেওয়াল, ডুবছে কুমোর-তার মনের হাল।
এইরূপে জন্মালো সন্ধিক্ষণে, বাপের মুখে একরাশ হাঁসি নিয়ে,
শৈশবে তার পড়েছে রাস, দেখেছে সে শতাধিক যন্ত্রনাময় রাত।
বয়স যখন মাঝ ছয়, মাতৃহীন হল তার সুপ্ত-হৃদয়,
দিন আনে দিন খায়, বাপ যে তার বড়-অসহায়।
সূর্য যখন অস্তে ডোবে, ইদৃশ্যে বাল্য-মনে ক্রোধে অগ্নি-জ্বলে,
রইবে নাকো আর বন্ধ খাঁচায়, চাপবে এবার প্রতিষ্ঠার মাচায়;
বিশ্ব জগৎ করবে মুঠোয়, ভাঙবে সমাজের অসৎ আলয়।
নামবে নীচে পাতাল ফুঁড়ে, উড়বে আবার ভুবন চীরে;
শৈশবের আলয় ধ্বংস যার; পায়না কোনো ভয় সে আর-
নদীর পাড়ে সে দাঁড়িয়ে কাঁদে, মায়ের মুখ-খানি যে তার মনকে টানে,
আজ নাম-ডাক তার সাফল্যের সে সিন্ধু,তবে পরিচয় তার দীনবন্ধু;
সূর্য ফের উঠেছে গগনে, কে ধরবে হাল সমাজের-বিভাজনে।।