একটা ঘুমের কবিতা বলি,
জ্যোৎস্না ঢাকা কালো চাঁদ আকাশে,
ঝুমঝুমি বৃষ্টির কোলে ঢলে পড়া
নোয়ানো সজনেগাছটার পাতায়
শ্যামাপোকার ডাক,-
শিরশিরে অনুভূতি।
নিস্তব্ধ নিশীথে উড়ে চলা কিছু চমচিকি বাদুড়ের ডানা ঝাপটানি,
ওই দূরে কিছু আর্মি ক্যাম্পের লোক,
আগুনে হাত সেকছে।
গাড়ি থামিয়ে নেমে এল জনাকয়েক,
করা যেন গুটিপায়ে এগোয় আদিবাসী বস্তিটার দিকে।
এভাবে অনেকক্ষন।
সময় যেন থমকে দাড়িয়ে প্রহর গুনছে ধ্বংসের।
শূন্য পৃথিবী আছড়ে পড়ছে বিধাতার পায়ে!
হে প্রভূ! রক্ষা করো।
উন্মত্ত হরিণীর চোখের কালো লেগে আছে ঠোঁটের কোনায়।
শতশত জন্মের গরল নামছে বুকের ভিতর,
শ্বাসরুদ্ধ মরুদ্যান আজ ধূধূ বালুচর।
চারিদিক ছেয়ে গেছে মৃত্যু বাষ্পে।
শীর্ণ, বিধ্বস্ত ,বাকরুদ্ধ ,ক্লান্ত কন্ঠটা আরো একবার শেষবারের মত বলে উঠল,
"রাত্রি তুমি যদি একলা হতে?"