স্বৈরিণী চেয়েছিল পুরুষের তীব্র পরমাদ।
তাই কি আকাশ হয় ঝঞ্ঝাগ্রস্থ
                   মেঘে মেঘে বজ্র সুনিবিড় ?
কিন্তু কোন অনাহত জরা নক্ষত্রকে ঘিরে রাখে ?
আলোকবর্ষের শেষে গৃহস্থেরা টের পায়
এইখানে ছিল ব্রণ, এইখানে ক্ষত চিহ্ন
এইখানে নাভীর আলোয় বন তিতিরের নখ-
এইখানে ছিল তিল, অলকা-তিলকা।
এইখানে ভাস্করের কঠিন বাটালি
অর্বুদ স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে নিভে গেছে রোদের মতন।


গুলঞ্চের ছায়া ঘিরে সন্ধ্যা নামে
রাত্রি যেন স্মৃতি সত্তা সুরভিত মমি হয়ে আছে।
কুমোরের মাটির পুতুল,
মুখের জড়ুল দাগ, কিংখাবের প্রাচীন কস্তুরী
সাদা জোনাকির মতো যেন
                     ক্রমে শীত ঠাণ্ডায় বরফ।


স্বৈরিণী কখন যেন চলে গেছে ফাগুনের শেষে,
বিপ্লবের ধ্বনি ছিল, পদচিহ্ন জ্বলেছিল ঘাসে।


আজও তার গানের দোহার মৃত নক্ষত্রকে ঘিরে।