আকাশে নক্ষত্র ছিল, নিযুত নয়নে মেলে যেন কোন অনাদি পুরুষ অবাক বিস্মিত; এখানে এক পার্থিব নারী বুকের ফুসফুস
থেকে ক্লান্ত বাতাস বের করে নিয়ে নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে
একাকী দাঁড়িয়ে, ম্লান মুখশ্রী দু-চোখের অপরিজ্ঞেয় পারে


অজস্র উদ্বেল ঢেউ এখন স্তিমিত, যেন কোনো দীপ তৈলহীন
সারারাত জ্বলে পুড়ে ভোররাতে হারিয়ে গিয়েছে; অথচ প্রতিটি দিন প্রতিটি রাত্রির স্মৃতি অন্য এক দিন ও রাত্রির দিকে
ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি; শবাগারে শায়িত সে নিজেকে


হঠাৎ দেখতে পেয়ে দুহাতে আড়াল করে মুখ
প্রলম্বিত ছায়া ফেলে বুকের মধ্যেকার গোপন অসুখ
ক্রমশই গ্রাস করে তাকে; শাড়ির নিপুন ভাঁজ
প্রসাধন, কটাক্ষে বিলোল চোখ, নগ্ন শঙ্খ হাত, শরীরী দেরাজ


হঠাৎ কখন যেন একা একা ভীষণ নির্জন হয়ে গেছে- যাক;
মন ও শরীর থেকে অবাঞ্ছিত যাবতীয় অমুল্য পোশাক,
পোশাকের কারুকাজ, অতন্দ্র প্রহরী বোধ, বোধের ফসল
সমস্ত ঝরিয়ে দিয়ে বেদনায় আদ্র স্বাদু জল।