আজ তোমার চক্ষুবিষ পানে
আমি নীল।
নীলকণ্ঠ না হতে পারি;
ক্ষতি নেই!
প্রকৃতির নিয়মে কল্পনা
আজ সাদা খাতায় বিলীন।
আর পবিত্র ভালোবাসা
আজ জীবন খুঁজে চলে-
না পায় দেখা,
পূজারিণী পূজার ডালি হাতে;
মহাদেবের ভালে ত্রিবর্ণ বর্ণায়,
আর ত্রিবর্ণা দেখে চলে_
শঙ্কররুপী মহাদেবের ভালোবাসা;
পূজারিণী-র পূজার প্রতি।
দেখি সেই নয়ন মুগ্ধ করা দৃষ্টি,
আর আমি সেই-
মুগ্ধ দৃষ্টিতে ডুবে মরি।
বাঁচার পন্থা ভুলে গেছি,
তাই লুকোই আজ-
গ্যাস লাইটের আলোর ফাঁকে।
অর্ধচন্দ্র আজ পূর্ণিমার চাঁদ,
পূজারিণী সেই জ্যোৎস্না গায়ে মাখে।
আমি লুকিয়ে বাঁচি,
আর অমাবস্যার অন্ধকার খুঁজি।
ইচ্ছে করে_
ঐ পূর্ণিমার চাঁদ,
দানবের মতো গিলে খাই।
অর্ধমানব শরীরে বেঁচে থাকে,
রামধনুর চারটি বর্ণ হারিয়ে যায়।
বর্ণ আজ বিবর্ণ হয়ে;
খাতার পাতায় পাতায় বর্ণিত হয়।
মহাদেব আড়ালে হাসে;
আর ঊমার ভালোবাসার
স্মৃতিচারন করে,
শঙ্কর পালিয়ে বাঁচে কাব্যভয়ে,
পূজা আজ পূজারিণীকেই;
অবিশ্বাস করে।
ত্রিবর্ণা আজ বর্ণ হারিয়ে বিবর্ণ হয়,
আর আমি বর্ণ খুঁজে চলি_
ছন্দের লোভে।।