মানসী আজও মনে পড়ে
তোর উজ্জ্বল উপস্থিতি।
একদিন, দুইদিন করে কেটেছিল
সেদিনের পর_
যেদিন প্রথম দেবদত্ত
তোর চশমার ফ্রেমে নজর কারে।
সেও তো চশমা পরে;
স্কুল ড্রেসে সেইদিন দেখেছি প্রথম,
ভুলিনী তোকে; সাদা পোশাকে
আর গোলাপী ফ্রেমে বাঁধানো চোখ,
মলিন আড়ষ্ঠতা আর-
ভয়ের লেশমাত্র নেই মুখে।
তোর মনে পড়ে_
প্রথম আলাপ এ একটি চেয়ার নিয়ে
অজানা বিতর্কের কথা,
তাও আবার অচেনা আমি।
ভাবিনি কোনোদিন!
চেনা হবো এত মানুষের ভিড়ে;
কিংবা খুঁজে পাব সেই হারানো মুখখানি
আর একদিন যে দিন এসেছিলি;
আমার প্রতিপক্ষ হয়ে,
স্কুল ফুটবলে প্রতিনিধিত্ব দিতে।
সেদিনও ভুলিনি তোর গোলাপী ফ্রেমের কথা,
চেনা অচেনার ভিড়ে
সূক্ষ্মপত্র পেলাম খুঁজে।
আবার হারিয়ে গেলি অচেনায়।
জনস্রোত কমে না;
খুঁজে ফিরি; না পাই দেখা
যদিও বা পাই!
তখন বাকরুদ্ধ মন; পরিচয় আকাঙ্খায় বাঁচে,
না! চাই না, চিনি না
অচেনাকে চিনতে চাই না আর।


মন সান্তনায় বাঁচে
আর মরিচীকা সন্ধানের ব্যর্থপ্রয়াসে
পথ হারায়।
অবশেষে পায় দেখা!
মানসী হারিয়েছে আজ মানুষের সঙ্গ,
সঙ্গী আজ সঙ্গ খুঁজে চলে
কলেজের প্রথম বর্ষে হল দেখা,
আজ আমি অচেনা।
চেনা মনে তার ছবি-
সেই গোলাপী ফ্রেমে নেই আর।
তাও ভুলিনি সেই অবাক করা মুখশ্রী;
ত্রিবর্ণা যেন বর্ণ ঢেলে রঙ্গিন করেছে,
চারটি বর্ণ জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে আজ
সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো লুকাইত।
জীবন পেয়েছে ঘাত-প্রতিঘাতে
বেঁচে থাকার ক্ষমতা।
বিমর্ষতা আজ তার জীবনদর্শনে লাজ্জিত
প্রকৃতি দিয়েছে সুর কথা বলবার,
শক্তি আত্ম-সংবরনের।
আজ তুমি চেনা অতি চেনা-
এত চেনার ভিড়ে অচেনা লাগে!
সেই কঠোর মৃয় হাস্যমান মুখখানি
মানব দৃশ্যপটে মানসী তুমি অনন্য;
প্রকৃতি আজ বিজয়িনীর সুরে
বলছে_
তুমি বদ্ধ বই নও
তুমি হলে উন্মুক্ত আকাশ
নিজেকে মেলে ধরো
আত্ম-মহিমায়।।