সপেছি তোমায় প্রাণ, জননী বঙ্গদেশ
তোমারি চরণে, জীবনে মরণে;
খেলা যখন তব ভূমে ধরি নরবেশ
সংসার প্রাঙ্গণে, শয়নে-স্বপনে।
তোমার মায়ার সিন্ধু হাতছানি দিয়ে
করিয়ে অবগাহন— তুষ্ট করে মন;
মহারাণী মাতাসম তোমারি ঐশ্বর্য নিয়ে;
এ হৃদয় মন, দেখে যে স্বপন।
কিন্তু মাগো মহারাণী, জননী কৃপণা
কাঁদে যে অধম ছেলে, তোমারি কোলে;
সুখ-সম্পদ-হর্ষ লাগি হয়ে উন্মনা,
ভরতে সে শূন্য থলে, যাও কেন ভুলে?
একি সহনশীলা তুমি, হায় মা জননী
সহ অত্যাচার অবাধ্য জনার!
তুমি তাদেরও জননী, সেও মানি,
তাই কি এ দুরাচার, সহন তোমার?
কত যে আঘাত মাগো, বুকেতে তোমার
তবুও তোমার মন, মায়া দিয়ে অনুক্ষণ
সবাইকে ধরে রাখে, যেন সুশোভিত হার;
দেখিয়া তোমার সহন, প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায় মন।
ধরিয়া এবার মাগো রুদ্রময়ী বেশ;
অন্তরের প্রেমটারে ভাগাভাগি কর।
কুসন্তানের পরে এবার জাগাও মনে দ্বেষ
সুসন্তানের মাথায় তোমার ছত্রখানি ধর।