একটি ফুল ফুটাতে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হলো
চব্বিশটি বছর। দীর্ঘ এই প্রতিক্ষার পর—
কাঙ্ক্ষিত সেই ফুল ফুটল।
ফুল কি সহজে ফোটে?
অনেক যতনে নিড়িয়ে-কুড়িয়ে
দীর্ঘদিন গাছের গোড়ায় জল ঢেলে
ফুলের হাসি দেখতে পায় মালি।
যেখানে একজন মালি ফুটাতে পারে
অনেক অনেক ফুল; সেখানে অসংখ্য মালিকে
কাঙ্ক্ষিত সেই ফুলটি ফুটানোর জন্যে
অপেক্ষা করতে হল চব্বিশটি বছর—
জলসেচের বদলে ঢালতে হলো তাজা রক্ত
পুড়াতে হলো সম্ভ্রমের এত এত কাঠখড়!
এ এক অন্য রকম ফুল!
ফুলের বীজটি বপণ করা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে
রোপিত বীজ অঙ্কুরিত হয়ে ফলভারী বৃক্ষ হলো,
চব্বিশ বছর পর ১৯৭১ সালে দেখা দিল আনন্দকুসুম।
ফুলের বীজটি ছিল বড়ই তিক্ত এবং বিষাক্ত
বিষাক্ত বীজ জন্ম দিয়েছিল বিষাক্ত একটি গাছ
আশ্চর্য বিষামাখা ছিল তার ছায়াও!
অকোতুভয় সুদক্ষ মালির দল দীর্ঘদিন ধরে
অপেক্ষার প্রহর গুণে— রক্তজল সিঞ্চন করে,
বিষাক্ত গাছটি থেকে যে দুর্লভ ফুলটি ফুটিয়ে তুলল
তাতে বিষের কোনো গন্ধ নেই, বড়ই তা মধুর!