ধর্ষিতা হয়েছ তুমি,
সতীত্ব কেড়েছে তোমার নরপশুর দল!
এই ক্ষোভ প্রাণে ধরে যেয়ো নাকো থেমে।
কলঙ্কের হাজারো কণ্টক পথ দুই পায়ে দলে,
প্রতিবাদের মশাল হাতে এগিয়ে চলো,
নারীর অহংকার সতীত্বের মায়াজাল ছিঁড়ে।

হে ধর্ষিতা, তুমি পরিস্থিতির বীভৎস শিকার!
হারা হয়ে যায়নি তোমার সতীত্বের অধিকার।
সতীত্ব নিয়ে থাকবে তুমি মাথা উঁচু করে;
অসৎ হয়ে বেঁচে রবে ওরা চিরকাল।
শত শকুন-যুবক-পুরুষ করুক ধর্ষণ;
তবু তুমি সতী, সতীত্ব তোমার চিরজীবী।

ধর্ষণ করেছে ওরা, তোমার একার লজ্জা নয়
লজ্জিত সমাজ; সমাজেরই এ করুণ পরাজয়।
সমাজ যা ভাবে ভাবুক, যা বলে বলুক
বলতে দাও, তুমি দিও না তাতে কান।
ধর্ষণতো সমাজেরই দেয়া নিন্দ-হার।
এ হার বুকে বেঁধে প্রতিবাদের নাও অঙ্গীকার।

ওগো ধর্ষিতা, তুমি হয়ো না ভগ্নমনা,
মুছে ফেল সব বিতৃষ্ণাসিক্ত মান।
অবলার বেশে আর পথ চলা নয়,
জীবন যে বড়ই বিমর্ষ-অন্ধকার।
সুমুখের পথে ধরো তেজদীপ্ত শিখা,
পিছনের ডাকে আর দিওনাকো সাড়া।
পিছন যে শুধু পিছু টানতেই জানে,
সুমুখের জয়গান চিরশত্রু তার।
ওগো ধর্ষিতা— অতীতের ঘৃণ্য ভয় নাশো,
প্রতিবাদের অগ্নিমন্ত্র ধরে ওই বুকে-
মাতা-বোন-স্ত্রী-প্রেমিকার দীপ্ত হাসি নিয়ে;
উচ্চশিরে বাঁচো এই দুঃসহ সমাজে।