কতদিন এসে আমি ওইখানে বসিয়াছি
ঘাসের ওপর অথবা থেকেছি শুয়ে মাঠেতে আবার ।
বাঁকা চাঁদ চেয়ে থাকে এক মনে
আলো পড়ে তার স্কুলের উপর ‌।
‌‍‍ বাতাসে কাঁপন লাগে দেবদারু ডালে
পাখিগুলো ডেকে ওঠে সুর তাল মিলে ।
আর ডাকে ঝিঁ ঝিঁ পোকা
শর ঝোপে গাছের আড়ালে ।
কখনো বা অন্ধকারে জোনাকিরা আলো দেয়
সারা গাছ আর মাঠজুড়ে ।
স্কুল বাড়ি সেজে উঠে এল ই ডির সাজে ।
আবারও দেখেছি আমি
ভরা জ্যোৎস্নায় জেগে থাকে সারা মাঠ,
শর ঝোপ , বাঁশবন বাগীটির পাড় ।
ধূসর গোধূলি তার ছাপ রেখে যায়
পাখিরা ফিরিছে সব আপন কুলায় ।
স্কুলের মাঠেতে এক আমগাছ ছিল,
আষাঢ়ির আমগাছ বাঁধানো চাতাল তার ,
ওখানেতে সভা হতো আমতলে বসে ।
বহুদিন মুখ দেখে গেছি তার বহুবার
তারপর কি যে হলো
কখন সে ঝরে গেল
কখন ফুরালো আহা , কি জানি সে সব।
লগদির বটতল কতকাল ধরে
ছিল সে দাঁড়িয়ে তবু রাস্তার ধারে ।
কত স্মৃতি কত কথা নিয়ে হতো তাকে
কোথায় হারিয়ে গেল তারাদের ফাঁকে ।
অথবা মাটির সাথে ঘাস হয়ে
মিশে গেছে ঘাসে ।
ভরা বাগী দেখিয়াছি বহুবার বর্ষার পরে ,
ঢেউ যেন ছুঁতে চায় স্কুল মাঠ ধারে ।
সবকিছু নিয়ে আজ মনের মতন
বুকে নিয়ে জেগে আছে রবীন্দ্র বিদ্যানিকেতন ।