দুর্গের চারিদিকে বেষ্টনী দিয়েছে মহারাজ,
অতন্দ্র প্রহরী নিযুক্ত রয়েছে কড়া পাহারায়।
অস্ত্র ভাণ্ডারে তার অস্ত্র অনেক
হাতিশালে হাতি, ঘোড়াশালে ঘোড়া।
যুদ্ধযান ছড়িয়ে রেখেছে রাজা
জলে-স্থলে আকাশের পথে,
যা দিয়ে শত্রুপক্ষ ঘায়েল করতে
অথবা ঠেকাতে পারে অনায়াসে।
মাঝে মাঝে বাহুবলিরা তার,
বীরত্বের নমুনা পেশ করে থাকে
প্রকাশ্যে রাজপথে বিশেষ দিনেতে।
মহারাজ তখন বসে থাকে সিংহাসনে
মনের আনন্দে এবং
পারিষদ সব সঙ্গে থাকে তার।
ভেঁপু বাজে, বাদ্যি বাজে
সৈন্যরা সব সভার মাঝে
ঝলমলে খুব পোশাক পরে
দেখায় তাদের কেরামতি ;
বাহবা পায় হাততালি পায়
নানারকম খেতাব পায়
এলেম থাকার ফলে।
এতকিছু থাকার পরেও
মহারাজের মাথায় হাত !
কেন ?
কারণ জল, স্থল আর আকাশপথে
ছড়িয়ে থাকা শত্রু ছাড়াও
আরেক রকম শত্রু আছে
যারা থাকে অন্তরীক্ষে।
যাদের ঘায়েল করতে
অনেক বেশি বিদ্যা লাগে বুদ্ধি লাগে
গোলাবারুদ কিছুই লাগে না যে।
অন্তরীক্ষে ভেসে থাকা
মানুষখেকো শত্রুগুলো
সুযোগ পেলে ছাড়ে না তো
গরিব প্রজা, সেনাবাহিনী, পারিষদ
এমনকি সিংহাসনে বসে থাকা
মহামান্য মহারাজকেও ।
তারা মহাবিশ্বের মহামানবের
মহাশত্রু মহাভাইরাস ;
মহাঘাতক , নিঃশব্দ ঘাতক।
                                —S—