আমি করছি আগুনের চাষ
বেগুণ পোড়া ক্ষেতে,
দিনের বেলা আঁধার দেখছি
আলো দেখি রাতে।
যমের সাথে সন্ধি করে
বন্ধি হলাম কাজে,
অগ্নি সহায় অগ্নিই পোড়ায়
মরণ ডঙ্কা বাজে।
যার যনম জ্বালা, জীবণ জ্বালা
জ্বলে সর্বক্ষণ.
জ্বালার জালায় যৌবন পালায়
জ্বলে আমরণ।
শুনি, সতের নাকি সতি বাঁকা
সতির পতি পরম ধন.
সত্যির নাকি সত্য বাধা
বাধে মিথ্যের মহা রণ।
এসবের মাঝে পড়ে গড়া গড়ি
গর্বের মাথায় ভাগ,
সুবিধে লোটে লুটেরা দেখি,
আর আমার আগুণ পোড়া দাগ।।
আগুণ বিধি আগুণ নিধি
আগুণ ছাড়া আর কি?
মৌন গানে গৌণ মিছিল
জীবন বুনেছি।
জ্বলুক দেখি কত জ্বলে
জল ঢালব না আর তাতে,
ঢালতে ঢালতে তেল জলের মত
কিছুই আর নেই পাতে।
বুঝি ভাগ্যের ফেরে জীবণ ঘোরে
ভাগ্য বড় পাপি,
ভাগ্য হারা হতে হলে
হতে হবে মাগি।
আমি পারবনা সেই মাগি হতে
জাত হারাবোনা অজাতে,
খাঁটি মাটি সোনা না হলেও
গিনি হবে ঠিকে।
মনের শত্রু না থাক; মিত্র না থাক
আমি আমার ধন,
আগুণ আগুণ যতই থাকুক
আগুণই আমার মান।
যদি পুড়তে পুড়তে শেষ হয়ে যাই
শেষে বিধির কাছে যাব,
এই আগুণ চাষের পোড়ার মাঝে
ফসল ঠিকই পাব।
তাই বিধিই আমার আশা, বন্ধু
বিধিই আমার শ্বাস।
বিধিকে ছাড়া আর কাউকে
করবো না বিশ্বাস।
ঢাকা, জানু ১০, ২০২২.