অনুতাপ
এস.কে. শুভ


বিদগ্ধ নিলীমা আমাকে পই পই করে বলেছিলো
আমার দিকে তাকিয়ো না-
রৌদ্রজ্জোল শরষে ফুলের দিকে এক ধ্যায়ানে তাকার পর
সবুজ পাতাকে যেমন কালো দেখ-
সূর্যের দিকে তাকিয়ে আলোর প্রত্যাগমনের উৎস খুঁজে
ছানাবাড়া দৃষ্টিচোরা চোখ যেমন জ্বলিয়ে ফেল-
রাস্তার ধুলো-ধোয়ায় চোখ নাক চেপে অতিক্রম করে
দীর্ঘশ্বাসে টেনে-ছেড়ে অপ্রস্তুত পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য রক্তচাপ অনুভব কর
তেমনি কূটকিকাম্বল আমার রঙ। আমাকে তাকালে তক্তা হবে দেহের পাটান।
আশ্লেষে নষ্ট হবে মন, কষ্ট পাবে-
শেষে সুন্দরকেও অসুন্দর লাগবে, শান্তনা পাবেনা কিছুতেই।
মেঘনাস্রোতে ঢেউয়ে ঢেউয়ে অসীম দুরত্বে যাবার আশ্বাদন
কচুরিপানার হতে পারে- সে কূল পায় না।
মেঘেদের উড়াউড়ির জলচ্ছবি নদী আঁকতে পারে- জল মেঘ ছুঁতে পারে না
অজানা ফুলের সুরভি বাতাস গর্বনিয়ে বইতে পারে- বাতাস সুবাস কেন দুর্গন্ধও বানাতে পারবে না
অদৃশ্য কল্পনাশিল্পী কবিতা হয়ে শব্দের ঝনঝনানি দিতে পারে- কবি হতে পারবে না
তেমনি তুমিও অমরত্বের বর চেয়ে আমার অক্ষির রোষানলে আবেগ স্থাপন করো না।
আশ্লেষে নষ্ট হবে মন, কষ্ট পাবে।
পারতো গোধূলীর মেটেসিঁধুর লাল আলোতে স্নান করে মনকে প্রফুল্ল করে নাও-
প্রভাতের প্রবাল ভেবে প্রসিন্ধু প্রসন্ন প্রভাসকে প্রণাম কর-
জীবননান্দ দর্শন পাবে, সফল হবে-
ভুলে বিগদ্ধ এই আমার দিকে চোখ দিওনা-
আশ্লেষে নষ্ট হবে মন, কষ্ট পাবে।


আমি পুরেই গেছি নীলিমা, ছিড়েই গেছি উঁই-ঘুনেধরা পুরোনো পাতার মত
এখন শিরদার করে দাড়াতে পারি না, ভালোলাগেনা কিছুই।
যদি শাসন করে আমার ভাসান মনটাকে স্থির করে দিতে
অন্তত কলাগাছ হলেও হতে পারতাম,
তোমার দিকে তাকিয়ে ভাল দেখার চোখ নষ্ট হত না।