কাছ ঘেঁষে বসে কিসে চাইছ উত্তাপ
সন্তাপে তো বিষাদ বিবর্জিত হয়েছে পুরোটাই।
পুঁ পুঁ সাইরেনটা বাজছে শহরতলীতে
যেতে হবে এক্ষুনি, যেতে দে
নইলে হাজিরা কেটে বেতনে দেবে হাত
হা-ভাত দশায় চিবুক বেরুনো হাড়ের উপর
কপালের দস্যি ভাঁজ, চেয়ে দেখ
বসন্তের বাউরি বাতাসে শুষ্ক রক্তচোষা হয়েছে দেহখানা।


- থামো না! একটু পরে যেও! গেলে যৌবণের অন্তরঙ্গ অপবাদ হবে।
- প্রয়োজন কখনও কখনও ভুল করতে বাধা দেয় না।
- আজ ভুল কর!


প্রয়োজন! সত্তাবৃত্তিতে পিপাসুত চাতক কিংবা ক্ষুধার্ত ব্যাঘ্রের মত তাই না!
বুঝি! কিন্তু থামবার পথ বহুদূর!
ভাবছি, পথ পেরিয়েই চলে যাবো একেবারে।
- কেন এত অভিমান?
অভিমান নয়, স্মরণ!
- কিসের?
চাক্ষুস সব ঘটনাগুলোর।
- যেমন?
যৌবণের গৌণ সময় যখন মৌণ মিছিলে
দাপিয়ে কেঁদেছিল শরীর
তখন তাতে আবেদন পড়েনি,
দারিদ্রের অপবাদে।
- এখন তো অনেক আবেদন?
শুকনো কাঠের যৌবণ রস থাকেনা জানো তো!
- হুম! কে বলেছে থাকেনা? সৌন্দর্য তো বাড়ায়।
- যেমন তুমি এখন অপার সৌন্দর্য ছড়াচ্ছ।
ভুল কল্পনা।
আসবাস ঘর সাজাতে পারে পরের জন্য, দাসিবাদি করে।
সেই দশায় আমি দাস-দাসি। তাতে সৌন্দর্য নেই, উত্তাপ নেই
পেটের ক্ষুধা আছে, মনের নেই।
এখন সময়ও নেই।
সময় হলেই সাইরেন বেজে ওঠে,
যেতে হয় ঘড়ির কাটা মিলিয়ে।


- তাহলে আমার?
পথ আলাদা হোক নয়ত হও আমার মত অভিযাত্রিক।
- পারব না!
ক্ষমা কর!
আমার পথ সমুদ্রের ঢেউয়ের মত-
মায়াহীণ, প্রেমহীণ, দয়াহীণ।
আমি হীণ তাই বিরতীহীণ।


- কিচ্ছুই কি বলার নেই আমার?
বলার ও চাওয়ার মাঝে বেঁধে রাখার সব চেষ্টাই পবিত্র তোমার।
আর আমার পবিত্রতা, লোভহীণ কর্তব্য!
- তাহলে আমাকে জড়ের মত হতে বলছ?
না! শুধু খোলস বদলাতে বলছি।