শুণ্য গগণে অসীমে সসীম হবার দৃষ্টি স্থাপন করবার-
যতদূর দৃষ্টি বধিবে অক্ষিতে, পক্ষিতে নীলে নীলে
নীলান্তর হবে অদৃত স্বপ্ন তোমার। সৌরজগতের চক্রবানে।
জমিন থেকে আসমান প্রবাহের মধ্যন্যান্তরে বিভূত বিবস্বাদ
কাঙ্খিত পরাশ্রয়ে নির্ভারতায় তুমি নিরাপদাশ্রয়ে থাকিতে চাইছো বৈকি!
চাও! সকলেই তাই চায়!
বন্ধুর বিধূর পথপ্রবাস হইলেও নির্বাসন বিভ্রাট, তবুও-
অতর্কিত প্রেমের আরাধ্য- এ অকৃত্রিম অধিকার
যৌবিক কারণে বিধাতা স্বীকৃত। দোষের নয়!


আমি, দৃষ্টি স্থাপন করি তীরন্দাজের মত সম্মুখ মূহ্যমান দন্ডকায়
সীমান্তরেখায়। এর পরে কি আছে অজানা দ্রোহে-
তথাস্তু সসীমে সমীপেষূ সংগ্রাম। থেমে যাওয়া দীর্ঘঃশ্বাসে নিঃরস-কষ
বহ্নির দোহনে দোহনে শীক্ত হয়েছে হৃদয়-
আমার তার থেকে মুক্তির কোন উপায় নেই, উপায় জানিও না।
পৃথিবীতে যত পুরুষ আছে, আছে যত নারী
সকলেই নির্দিষ্ট সীমান্তরেখার পরে কল্পনা করতে চায়,
তারপর কি আছে তা জানে না। অনিশ্চিয়তায় থাকে নিঃশ্চুপ সহসা নিয়ে-
আমিও অনিশ্চিত তোমাকে নিয়ে, তোমার উপরের দিকে তাকানো স্বপ্ন নিয়ে।
কারণ, কর্মহীণ জীবণ পিছন থেকে টেনে ধরে,
যার পর আর যাওয়া যায় না, কেউ যেতেও পারে না, সেথায় ভাগ্য সহায়।
তাই প্রেমের সে আখ্যান সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে সামন্তন করেছি হে প্রিয়-
যদি ঢুবে যায় তরী- ঢুববে! আপত্তি রেখো না! আপসোস হলেও- করোনা!
যদি তোমার তুলোর মত নরম, গমের ডগার মত নীরিহ নায়র মন
নয়নের নোনাক্ততায় অদ্ভুদ অনাদরে পুরে-মুরে নিঃশেষ হয়
তবুও আশ্লেষ রেখো না! রাখতে নেই, মুক্তির মিছিলে।
বীরবলে বীরপুরুষের ভালবাসা লুণ্ঠিত এ জগতে-
এর চেয়ে ভালবাসিবার কোন প্রতিজ্ঞা আশা কোরোনা- পারবনা!


করোনা কাব্যরাস- ২৭।