এতো কিছু ভাবলে কি চলে?


কলকাতার আশিয়ানের এপার্টমেন্ট,
তীব্র গরমে শীতল পরশ,
টেবিলে জমে থাকা খাবার-ফল
দেয়ালে উত্তম-সুচিত্রার শিল্পকর্ম ,
অন্যপাশে বইয়ের তাকে সারি সারি
শেক্সপিয়ার, এলিয়েট, বুদ্ধদেব, গুল্টার
কিংবা এ যুগের সুনীল, আজাদ, ছফা বাদ পড়েনি।


তার পরেও-
এক নিভৃত জীবন, বেঁচে থাকা
এবং, বাঁচানোর একটি সবুজ পল্লী।
একবেলা-আধবেলা খেয়ে বেঁচে থাকা
একদল মানুষ। ওরা বাঁচতে চায়, বাঁচাতে চায়।
দেখতে চায়-এখানেও একটি বিজ্ঞান দর্শনের জগৎ আছে।


অমৃতা,
কখনো পানিতে, নৌকায় বৃষ্টিতে ভিজে
স্বপ্ন দেখেন। দেখেন একটি কিশোরী
জংলী ফলের ভেষজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর সামনে,
অনর্গল ইংরেজিতে ঢুকে গেছেন
বিজ্ঞানীর জগতে! এবং গিনেজ ওয়ার্ল্ডে।


অমৃতা, তাই হবে কোন দিন!


মেরিল্যান্ড, মে ২, ২০২৪