(ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে নিহিতদের স্মরণে)
হুইল চেয়ারের উপর যাপিত জীবন
কখনো নিজে কখনো বা হোসনে  আরা,
ঠেলে ঠেলে ঘর্মাক্ত মুখে তৃপ্তির হাসি।
ভালোবাসার ক্লান্তি নেই, নেই নিরানন্দ।


শেষ বয়েসে সিজদায় বসে মঙ্গল কামনায়
অন্য রকম তৃপ্তি এনে দেয় ,
হোক ঘর কিংবা উপাসনালয়।


সেদিন ছিল জুম্মার দিন,
ঘরের অদূরে আল নুর মসজিদ,
ক্রাইস্টচার্চের নীরবতা ভঙ্গ করে
আল্লাহ নামের বন্দনায় কিছু মানুষ,
মানুষের মঙ্গল কামনায় যখন আকুল মিনতি
তখনই পিচাশের অট্টহাসিতে কম্পিত
পবিত্র ভূমি, কম্পিত ইটের মিনার।
কোন এক নরক একে একে কেড়ে নেয়
নিষ্পাপ মানুষের প্রাণ!


নিবেদিত প্রাণ হোসনে আরা
পরম মমতায় নিরাপদে পৌঁছে দেয়
শিশু-নারী ও মা'কে!


হঠাৎ আশংকা জাগে মনে!
হুইল চেয়ারে বসে থাকা মানুষটি ভালো আছে তো?
ছুটে যায় মসজিদে
কিন্তু দেখা হয়নি প্রাণনাথের সাথে।
বুলেটের আঘাতে নুয়ে পড়ে এক স্ত্রী, এক মা।
জীবনের শেষ সীমানায় এসে
ফিরে যায় আপন আলয়ে !


ফরিদ উদ্দিন, ঝাপসা চোখ
দুহাতে হুইল এর দন্ড ,
পেছনে হালকা বাতাসের আলিঙ্গন,
ফিস ফিস করে বলে-
'আমি ভালো আছি, তুমি ভালো থেকো।'


ক্ষমার দৃষ্টিতে ফরিদ উদ্দিন
পাহাড়সম কষ্টের স্মৃতি নিয়ে।


মেরিল্যান্ড
মার্চ ১৯, ২০১৯