সখিনার শেষ আশ্রয়স্থল কোথায়?
দমের পরতে পরতে জমাট বেঁধেছে
নিকোটিনের বিষাক্ত ছায়া,
দমের ভীতর আটকে আছে
হারানো সময়ের নিশুতি কাব্যমালা!
সব হারিয়ে সে আজ জীবনের শেষ ঠিকানায়
চিরচেনার অচেনা পথে।


মেয়ে হয়ে জন্মাবার মধ্য রাতে,
পাষাণ বাপের পলায়নে
শুভ সূচনা হারানোর ব্যাথা কাব্যগাঁথা!
একদিন চাঁদ-তারাও তার সাথে হাসত,
কথা বলতো, দেখা হতো নতুনের,
নতুন প্রত্যাশার আলো ফোটার আগেই
বাস্তবতার সীমারেখায় কাঁটাতারের বেড়া
দিয়ে ফিয়ে যায় প্রিয় জন্মদাত্রী!


শুন্য ভিটায় হাজার হায়েনার চোখ,
যৌবনের সরল পথে লোলুপ রক্তপিপাসু!
একদিন এই ভিটেটুকু গোগ্রাসে গিলে ফেলে
যেমন গোগ্রাসে গিলেছে যৌবনের সম্বলটুকু
চিরচেনা কামুক পুরুষ!
খেলার সাথী পদ্মা, যে পদ্মা শোণাত গান
নির্জন প্রান্তরে, আপন করে,
যে পুরুষ শোনাত বেঁচে থাকার পৌরানিক কাহিনী!


আজ এই অবেলা সন্ধ্যায়
জীবনের বাতিটাও নিভু নিভূ,
সেও কি যাবে পালিয়ে?
অন্য সবার মতো?


১১/০১/২০১৩