আমি হিমু হতে চেয়েছিলাম;
হিমুর পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী পরে
দেখতে চেয়েছিলাম নির্ভীক, নির্লোভ  মানুষের মূল্য কতটুকু।
আমি খালি পায়ে হেঁটেছি, গ্রাম থেকে গ্রামান্তর
টেকনাফ থেকে তেতুঁলিয়া, ঢাকার পীচঢালা
পথের অলিতে গলিতে।
আমি হন্যে হয়ে খুঁজেছি জলে ভাসা পদ্ম,
বস্তির রহিমা খালা, পাইপের ভীতরের বন্দী জীবন,
বস্তির একমুঠু পান্তা ভাত।
আমি হিমু হয়ে ভিক্ষে করেছি,
কখনো রাস্তায় কখনো পার্কের নির্মল বাতাসে,
আমি দেখতে চেয়েছিলাম মানুষের জন্য মানুষ
নাকি অর্থের জন্য রঙ্গীন ফানুশ!


আমি মিসির আলীকে দেখেছি বহুবার;
তার রহস্যঘেরা জীবনের অর্থ কি?
আমি খুঁজতে গিয়ে রহস্যের বেড়াজালে
আটকে গেছি কোন তারা ভরা রাতে,
কিংবা চাঁদনী পসর রাত্রে।


আমি জীবন্ত মৃতের স্বাদ নিতে কাটিয়েছি
তালাবদ্ধ কফিনে।
আমি মীরার হতে চেয়ে বার বার হয়েছি
সংসার নামক জগত থেকে নির্বাসিত!


আমি বাদল দিনের প্রথম কদম ফুলের ভালোবাসা নিতে
ছুটে গিয়েছি নূহাশ পল্লীর সাড়ে তিন হাত ভূমে।


তবুও-
হিমুর আজও রহস্য মানব হয়ে উঠা হয়নি।


১১/১৩/২০১৩