খুব ইচ্ছে জাগে, মনের দুঃখের পোড়া ছাই,
আকাশে উড়াই, ঘণ নীল তরঙ্গে,
মানুষের চোখে পড়ুক ধূলো
আবছা চোখে আস্পষ্টতার ছাপের নিশানায়-
পথের অলিতে গলিতে দেখুক
দুঃখ তোর শেষ ঠিকানা কোথায়?


মায়ের জমানো কষ্ট, এক চিলতে দেখার সাধ
নোনাজলে বুক ভাসা নদীর স্নানে
দিশেহার এক অব্যক্ত কবি!
ঘরের চৌকাঠ পেরোনোর বাম পা'টা
আটকে যায় মনের জানালায়।


পকেটের থলের বেড়ালটা কবে ছিঁড়ে গেছে!
বাঁধহীন পকেটে ধূলোর বনে
স্তরের কোনায় দুঃখের চামচিকা বেঁধেছে ঘর।
মা, এখনো কাঁদে
তার একফালি চাঁদের আশায়।


জীবনের সব গতি আটকে আছে
মনের কাঁটাতারে, পিলারের ক্ষতে,
আইনের বিধি-নিষেধ, অক্টোপাসের হাত,
সোনায় মোড়ানো বদ্ধ ঘড়ির
শত বছরের সাজানো জাদুঘরে বন্দী!
কে দেবে এর হিসাব?
কে নেবে দায় নিঃষ্ফল জীবনের?


কবির কলমে দুঃখের রক্ত-
পকেটে ধূলোর স্তর!
অজানা প্রান্তরে।


০৫/২২/২০১৪