কাব্যের চারণভূমে সীমানা এঁকে দেয়;
সেঁটে দেয় নিষিদ্ধ পিলার,
বিক্ষত গর্ত থেকে সুরের মুর্চ্ছনা প্রকম্পিত আকাশ!
ঠিকাদারের কাঁটাতারের  কবিতায়,
আমার কাব্যের ছেঁড়া মাংস-রক্তের দাগ,
শকুন-কুকুরেরা চেটে-পুটে খায় লালসার জিভে!
ওরা কারা? কারা ওরা???


কবিতা কি আজ বর্গার খন্ড ভূমি?
নাকি দুইশত বছরের হিসেব-নিকেশ!
অথবা খাজনার বাকী অংশ?
পই পই করে কেড়ে নেবে বর্গীওয়ালা?
জমিদারের পেশোয়া-পেটোয়া বাহিনী!


তারপরেও প্রতিবাদের ভাষা জাগে,
কলমের দন্ডের ওপরে ভর করে রবীন্দ্র-নজরুল,
শান্ত সুনীল সাগরে উঠে বজ্র হুংকার,
ঢেউয়ের আঘাতে আছড়ে পড়ে
কোন কালের পিলার, কাঁটাতারের বেড়া,
শোষকের হাত, শাসনের অট্টালিকা,
ইতিহাসের পাতায় মরে থাকে মাছি,
কবিতার পাতাঘরে পাথরকুচির সমারোহ,
আজস্র তরু-লতায় আগলে থাকা মমতা,
সুর হয়ে ধরা দেয় আমার কাব্যভূমে।


আজ, আমি-আমরা স্বাধীন,
নতুন দিন আমাদের, নতুন  সময় আমাদের।


১০/১০/২০১৪