যেতে বলেছিল,
কিন্ত আমি যাই নি।


একটু আড্ডা মেরেছিলাম, ফেসবুকে,
কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধু হয়েছিলাম
কয়েকদিনেই আপন করে নিয়েছিলাম,
একটা আকর্ষণও অনুভব করতাম।
এর মধ্যেই দেখা করার অনুরোধ,
কিন্ত, তখন মনে হয়েছিল,
ডাকলেই কি যেতে হবে?
তাই, দেখা করতে, আমি যাই নি।


দার্জিলিংয়ের অতি উচ্চ উপত্যকায়,
গোধূলির রক্তিমে, উদ্ভাসিত পর্বত শৃঙ্গ,
ক্রমেই কুয়াশাচ্ছন্ন,
ঘন অন্ধকারের আবরণ জড়াতে উদ্যত।
সেই তমসাঘন পর্বত গাত্রে,
কুয়াশায় ঢাকা অরণ্য চিরে, খরস্রোতা ঝর্ণা,
আমাকে ডেকেছিল, হাতছানি দিয়ে,
সেই অরণ্যেই, আমি যাই নি।


পুরীর সমুদ্র তীরে,
হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে, প্রত্যক্ষ করেছিলাম,
বিশাল ঢেউগুলো, তীরে পৌঁছবার আগে,
ফিরতি অন্তঃসলিলার আঘাতে,
চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে, সাদা সাদা ফেণার মুকুট পড়ছে,
সমুদ্রতীর ধুয়ে, পরম প্রাপ্তি উপলব্ধি করছে।
সেই অন্তঃসলিলা, আমাকে,টেনেছিল গভীরে,
উঠে এসেছিলাম, গভীরে আমি যাই নি।


কালের চক্রে শুনি, বার্ধক্যের ডাক,
গুরুতর রোগব্যাধী দলে দলে
বাসা বেঁধেছে শরীরে,
অশক্ত করেছে ক্রমে সামর্থ্য হরণে,
মৃত্যুর হাতছানি, কতবার ফিরিয়েছি, যাই নি।
নিউ নর্মালে, আজ শুধু আতঙ্ক, আর হয়রানি
তাও, কত জনই তো, আরোগ্য হয়ে বলেছে,
মৃত্যু ডেকেছিল, আমি যাই নি।